প্রতিবেদন: মণিপুরের জাতিগত হিংসায় পীড়িতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গঠিত কমিটি একগুচ্ছ সুপারিশ জমা দিল শীর্ষ আদালতে। কমিটির পরামর্শ, পীড়িতদের দেওয়া ক্ষতিপূরণ বাড়ানো উচিত। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের হারিয়ে যাওয়া জরুরি সরকারি নথি পুনরুদ্ধারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি হিংসা এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছে।
আরও পড়ুন-ধর্ষণে অভিযুক্ত শিশুকল্যাণ কর্তাকে সাসপেন্ড কেজরির
রিপোর্টে উত্থাপিত উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল, মণিপুর হিংসায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সরকারি নথি নতুন করে তৈরি করে দিতে হবে। রিপোর্টে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের সুপারিশ করে বলা হয়েছে, যিনি আধার কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গেলে সেগুলি আবার তৈরির ব্যবস্থা করে দেবেন। কমিটির যুক্তিগুলি প্রাথমিকভাবে মেনে নিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। বিচারপতি মিত্তাল কমিটির রিপোর্টে মণিপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রকল্প নিয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কমিটির সুপারিশ, ক্ষতিপূরণ কাঠামোর উন্নতি প্রয়োজন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো হোক।
আরও পড়ুন-ঢালাও দুর্নীতির পাঁকে ডুবে, অমিত শাহের মন্ত্রক, জানাল কেন্দ্রের ভিজিল্যান্স কমিশন
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিটির রিপোর্টগুলি আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সমস্ত অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এর হাতে তুলে দিতে হবে। আদালত এ-বিষয়ে আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে দায়িত্ব দিয়ে বলেছে, প্রয়োজনীয় নির্দেশগুলি খতিয়ে দেখে ২৪ অগাস্টের মধ্যে মণিপুরের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরবর্তী শুনানি ২৫ অগাস্ট।