কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর : গঙ্গার ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল মহিলা জেলা সভাপতি। জোড়া নিম্নচাপের জেরে মুর্শিদাবাদ জুড়ে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মাঝে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পুর এলাকার ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশে শুরু হয়েছে গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন। ভাঙনে এখনও পর্যন্ত ১৫টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি এলাকার একটি ঢালাই রাস্তাও ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনে প্রচুর মানুষ নিজেদের বাড়িঘর থেকে মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, গত বছর অগাস্ট মাস থেকে সামশেরগঞ্জ থানার ধানঘড়া, হীরানন্দপুর, শিবপুর প্রভৃতি এলাকাতে গঙ্গানদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় বন্যারোধে মেগা প্ল্যান, ২৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প
ইতিমধ্যেই নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৬০০-৭০০ মানুষ ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। নতুন করে ধুলিয়ান পুর এলাকাতে ভাঙন শুরু হওয়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়েছে। সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে নদীভাঙন চলছে তাতে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া স্থায়ীভাবে সামশেরগঞ্জের ভাঙন রোধ করা অসম্ভব। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। তৃণমূল কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের তরফে নানা দল আসে। তবে ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিতে কোনও পদক্ষেপই তারা করেনি। ধুলিয়ান পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন হাসেন বিশ্বাস জানান, পুরসভার তরফে গঙ্গাভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে খাবার এবং আশ্রয় দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থাই আমরা করছি।