প্রতিবেদন : প্রবল ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের জনজীবন। গত কয়েক মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবু সরকারের হুঁশ নেই। ডবল ইঞ্জিনের এই রাজ্যে বিজেপি সরকারের মদতে চলছে বেলাগাম বৃক্ষনিধন যজ্ঞ। দেশের অন্যতম সংরক্ষিত অরণ্য জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধ নির্মাণ চালিয়েছে খোদ উত্তরাখণ্ড সরকার।
আরও পড়ুন-অপহরণ সত্ত্বেও পালিয়ে তৃণমূলে যোগ দুই জয়ীর
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কড়া ভাষায় উত্তরাখণ্ড সরকারকে তোপ দাগল আদালত। হাইকোর্টের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে না কেন? জানা গিয়েছে, ২০১৭-২১-এর মধ্যে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের ৬ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। সেখানে পর্যটকদের টাইগার সাফারির জন্য নির্মাণকাজ চালায় রাজ্য সরকার। এছাড়াও অরণ্যের একাংশকে পাঁচিলে ঘেরার জন্যও গাছ কাটা পড়ে। সরকারের এমন বেপরোয়া মানসিকতার বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন দেরাদুনের বাসিন্দা অনু পন্থ। অভিযোগ, বৃক্ষনিধন এবং নির্মাণকাজ চলে হরক সিং রাওয়াত রাজ্যের বনমন্ত্রী থাকাকালীন। সেসময়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। শুনানিতে আদালত রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায়, অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? সরকারি কৌঁসুলীর সাফাই, এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য রাজ্যের মুখ্যসচিব আদালতে পেশ করবেন।
আরও পড়ুন-৩ লক্ষাধিক পড়ুয়াকে রাজ্যের স্কলারশিপ ৩৬২ কোটি টাকা
যদিও এমন উত্তরে উত্তরখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতিদের মন গলেনি। সরকারি নির্মাণকাজের জেরে ৬ হাজার গাছ কাটার অভিযোগে, তৎসহ এমন কাণ্ডের পরেও কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবাক হন তাঁরা। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে আদালত প্রশ্ন তোলে, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে না কেন? এই মামলা পরবর্তী শুনানি ১ সেপ্টেম্বর-এ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের নাম পরিবর্তনের তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। জানান, করবেটের নাম বদলে রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান রাখা হবে।