প্রতিবেদন : চাপে পড়ে যাদবপুর (jadavpur student death case) বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি লাগাতে বাধ্য হলেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। পড়ুয়াদের স্বার্থে ক্যাম্পাসে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সিসিটিভি লাগানোর দাবি জানাচ্ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বা নতুন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের মধ্যে এ বিষয়ে তীব্র অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাহু। এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে বুধবার একদল জলপাই রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত যুবক-যুবতী ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। দাবি করে শান্তিরক্ষার জন্য তারা এসেছে এখানে। কিন্তু পরে জানা যায় তারা আসলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য। প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তারক্ষীদের এড়িয়ে কীভাবে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ল। যাদবপুর-কাণ্ডের তদন্তে গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদারকে ওরফে আলুকে যাদবপুর থানায় ডেকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যাতেই তদন্তকারী অফিসারদের ডাক পেয়ে যাদবপুর (jadavpur student death case) থানায় হাজির হন অরিত্র। তাঁকে ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরও দু’জনকে। বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া রুদ্র চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন ছাত্র সায়নদীপ দাঁকে। এই দু’জনকেও অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৩ জনের বয়ানই। ৩ জনকেই আবার ডাকা হতে পারে তদন্তের প্রয়োজনে। ঘটনার সময় অরিত্র ঠিক কোথায় ছিলেন, তা জানাই ছিল জিজ্ঞাসাবাদের মূল লক্ষ্য। রেজিস্টারে তাঁর সইয়ের বিষয়টিও বুঝতে চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও ডেকে পাঠায় অরিত্রকে। কমিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অরিত্র বলেন, একসঙ্গে ৩ দিনের সই করতে গিয়ে ভুল করে রেজিস্টারে ১১ তারিখের ঘরে সই করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, আমি চাই দোষীরা চিহ্নিত হোক।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার শুরু থেকেই অরিত্রের নাম বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছিল। তার উপর মঙ্গলবার দিনভর অরিত্রর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জোর জল্পনা হয়েছে। এরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের আরও ৫ কর্মীকে এদিন ডেকে পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা। মঙ্গলবার লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। ৯ অগাস্ট রাতে হস্টেলে ঠিক কী হয়েছে তা জানতে চায় পুলিশ। বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই থানায় ডেকে পাঠানো হল ক্যান্টিনের আরও ৫ কর্মীকে।
আরও পড়ুন- এবার শিল্প সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু