প্রতিবেদন: মোদি জমানায় বিজেপির বিভাজন নীতির বিষবাষ্পে দেশের নানা প্রান্তে গণপিটুনি এবং ঘৃণাভাষণের (Hate speech) ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিজেপির আমলে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘু, দলিত, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষজন। বিজেপি রাজ্যগুলিতে দেখা যাচ্ছে গণপিটুনি এবং ঘৃণাভাষণ রুখতে বিভেদমূলক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নিষ্ক্রিয় থাকছে প্রশাসন। উল্টে এই ঘটনাগুলিকে মেরুকরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে শীর্ষ আদালতও। ঘৃণাভাষণে (Hate speech) রাশ টানতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে সক্রিয়তা বাড়ানোর কথা বলেছে। তার পরেও বিভিন্ন বিজেপি রাজ্যে এসব ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এবার এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নোডাল অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত। শনিবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এসভিএম ভট্টির বেঞ্চের নির্দেশ, কোন কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কতজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, তা রাজ্যগুলির থেকে জেনে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। ২০১৮ সালেই দেশে গণপিটুনি ও ঘৃণাভাষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নজরদারির জন্য সুপার পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে নিয়োগের কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-বন্যাতেও এবার সন্ত্রাসের ধারা যোগ করতে চায় মোদি সরকার, উঠছে প্রশ্ন