প্রতিবেদন : আবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃত হল বাংলা। বাংলাদেশের সঙ্গে এ রাজ্যের স্থলবন্দরগুলি দিয়ে ট্রাকে পণ্য রফতানি সংক্রান্ত কাজে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে দিনকয়েক আগে রাজ্যের পরিবহণ দফতর অনলাইন স্লট বুকিং সিস্টেম বা ‘সুবিধা ভেহিকেলস ফেসিলিয়েশন সিস্টেম’ চালু করেছে। এই প্রকল্পের জন্য এবার স্বর্ণপদক পেল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। ইন্দোরে আয়োজিত ২৬তম জাতীয় ই-গভর্ন্যান্স সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং শনিবার রাজ্যের প্রতিনিধিদের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন। স্বর্ণপদকের পাশাপাশি এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার রয়েছে।
আরও পড়ুন-লজ্জায় ফেলে দিল ওপেন থিয়েটার
রাজ্যের পরিবহণ দফতর, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সীমা শুল্ক বিভাগ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুবিধা পোর্টালটি চালু করেছে। নতুন ব্যবস্থায় দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ট্রাকে পণ্য পরিবহণের জন্য আগেই অনলাইনে ‘স্লট বুক’ করতে পারেন। এই কাজ করতে চেসিসের জন্য লাগবে ৫ হাজার টাকা এবং পণ্যভর্তি ট্রাকের জন্য ১০ হাজার টাকা। পুরনো ব্যবস্থায় বাইরের রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে যাওয়ার আগে বনগাঁ শহরের তিনটি জায়গায় (কালীতলা, কালীবাড়ি মোড় এবং বিএসএফ ক্যাম্প মোড়) পরিবহণ দফতরের কাছে ‘এন্ট্রি’ করাত।
আরও পড়ুন-লড়াই করেও হার প্রণয়ের
তারপরে সীমান্তে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিনের অপেক্ষা করত। কখনও কখনও ছাড়পত্র মিলতে একমাসের বেশিও সময় লেগে যেত। ততদিন ট্রাকের মালপত্র স্থানীয় গোডাউনে বা স্থানীয় ট্রাকে তুলে বেসরকারি পার্কিং লটে রাখা হত। তাতে একদিকে যেমন পরিবহণ খরচ বাড়ত তেমনি বহু মালপত্র নষ্ট হয়ে যেত। আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অনলাইন স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হওয়ার পরে বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে। পরিবহণ খরচ এবং সীমান্তে আটকে থাকার কারণে পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যাও অনেক কমেছে। এবার পুরস্কারের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের এই কৃতিত্বকেই স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র।