প্রতিবেদন : পুজোমণ্ডপে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে এবারে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। এবারে পুজোয় প্রায় ৭০০০ বারোয়ারি মণ্ডপে আচমকাই অভিযান চালান সংস্থার আধিকারিক-কর্মীদের বিশেষ দল। লক্ষ্য, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ খুঁজে বের করা। দেখা গেছে, ১৭৯৬টি মণ্ডপেই বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে বেআইনিভাবে। তবে বিষয়টি চিহ্নিত করেই কিন্তু থেমে থাকেনি বিদ্যুৎ দফতর। সংশ্লিষ্ট পুজোর উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা।
আরও পড়ুন-উদ্ধার ৪৩ লক্ষ
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, এবারে দুর্গাপুজোয় ৪০ হাজারেরও বেশি কমিটিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সবরকম নিয়ম-কানুন মেনেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন সংশ্লিষ্ট পুজোগুলির উদ্যোক্তারা। স্বাভাবিকভাবেই কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। তথ্যের দাবি, এবারে পুজোয় বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল ষষ্ঠীতে। ৮ হাজার ৪৭০ মেগাওয়াট। ২০১৯ এর পুজোয় এইদিনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৭৯৩ মেগাওয়াট। গত বছরের ষষ্ঠীতে তা কমে কিছুটা কমে যায়। চাহিদার অঙ্ক দাঁড়ায় ৭ হাজার ২০৫ মেগাওয়াট। অর্থাৎ, গত ৩ বছরে এবারের ষষ্ঠীতেই বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছায় সর্বোচ্চে। বিদ্যুৎ দফতর অবশ্য এ্ররজন্য প্রস্তুতই ছিল। ওইদিন ৮হাজার ৯০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রেখেছিল তারা। শুধু ষষ্ঠীর জন্যই নয়, পুজোর ৫ দিন বিদ্যুতের যা চাহিদা হতে পারে বলে এগিয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর, তার থেকে এবারে কিছুটা কমই বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে বলে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থায় এবং সিইএসসি এলাকায়। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তেমন কোনও খবরই আসেনি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে পর্যাপ্ত কয়লার অভাব যাতে কোনওভাবেই বিঘ্ন না ঘটায়, তারও আগাম ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরাবরাহে কোনও অসুবিধেই হয়নি এবারের পুজোয়। আলোর বন্যায় ভেসেছে প্রাণের উৎসব।