প্রতিবেদন : করোনার কালো সময়কে পিছনে ফেলে স্বাভাবিকতায় ফিরছে কলকাতা মেট্রো রেল। এবছর পুজোয় যাত্রী পরিবহণ এবং সেই বাবদ আয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল কলকাতা মেট্রো। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচদিনে ১২ লাখ ৬৮ হাজার যাত্রী মেট্রোয় চড়েছেন। আর ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত চারদিনে টিকিট বিক্রি বাবদ কলকাতা মেট্রোর আয় হয়েছে প্রায় দু’কোটি ৩০ লাখ টাকা। পুজোর ভিড় বা পুজোয় ‘বাড়তি রোজগার’ বলতে যা বোঝায়, তার তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বা আয় কম হলেও হতাশ নন মেট্রোর কর্তারা। এক বছর আগে করোনা-সংক্রমণ ও আশঙ্কা, দুই-ই যখন তুঙ্গে, তার তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি অনেকটাই শুধরেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। বস্তুত ২০২০-তে পুজোর পাঁচদিনে মাত্র ৩ লাখ ৬২ হাজার যাত্রী মেট্রোয় চড়েছিলেন। কিন্তু এ বছর শুধু ষষ্ঠীতেই তিন লক্ষ ৭৭ হাজার যাত্রী মেট্রোয় চাপেন।
আরও পড়ুন-অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, কঠোর রাজ্য
কলকাতা মেট্রো রেলের কর্তারা পুজোর আগে থেকেই যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। ভাইরাসের প্রকোপ কমলেও একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়নি। এই কারণেই পুজোর সময়ে ভিড়ে ঠাসা মেট্রো-কামরার পরিচিত দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি চাননি তাঁরা। তাই ২০২০-র তুলনায় সাড়ে তিন গুণ যাত্রী-বৃদ্ধিতেই সন্তুষ্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একজন যাত্রীও যাতে বিনা মাস্কে মেট্রোর গেট পেরিয়ে প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পৌঁছতে না পারেন, সেই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া ছিল মেট্রোর কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের। সেই নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়েছে বলেই দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। যাত্রীদের ভিড় এবং টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের নিরিখে এখনও পর্যন্ত ২০১৯-এর পুজোই অবশ্য সবচেয়ে লাভজনক কলকাতা মেট্রোর। ২০১৯-এর ৩ অক্টোবর দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে একদিনেই ৯ লাখ ২২ হাজার যাত্রী পরিবহণের যে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল, তাতে আঁচড় পড়ার কোনও লক্ষণই আপাতত দেখা যাচ্ছে না। সেবার ষষ্ঠীতে ৯ লাখ ১১ হাজার যাত্রী পরিবহণ করে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহণের নজির গড়েছিল মেট্রো। আজকের পরিস্থিতিতে সেই রেকর্ডও যথেষ্ট নিরাপদ। করোনা-সংক্রমণ শুরুর আগের ওই বছর দুর্গাপুজোর চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী মেট্রোয় সওয়ার হয়েছিলেন।