ক্যান্ডি, ১ সেপ্টেম্বর : নব্বই শতাংশ থেকে কমে এখন সত্তর শতাংশ। হিসেবটা শনিবারের ভারত-পাক ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে। স্থানীয় হাওয়া অফিস বলছে, ম্যাচ শুরুর আধ ঘণ্টা আগে বালাগোলা রেন হানা দেবে ক্যান্ডিতে। দুপুর আড়াইটেয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর বৃষ্টির পূর্বাভাসে সামান্য কমের কথা বলা হয়েছে।
পাল্লেকেল স্টেডিয়ামে একত্রিশ হাজার লোক ধরে। এমন হাই ভোল্টেজ ম্যাচের সব টিকিট নিমেষে নিঃশেষিত হয়েছে। ভারত আর পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে, তাহলে তিনবার এই টুর্নামেন্টে খেলবে রোহিত শর্মা ও বাবর আজমের দল। তাতে কী! কোনও ম্যাচই মিস করতে চান না ক্রিকেট ভক্তরা।
কিন্তু আবহাওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন এই দ্বীপ রাষ্ট্রের সর্বত্র কমবেশি বৃষ্টি হবে। ক্যান্ডি হল সেন্ট্রাল প্রভিন্স। এখানে শুক্র ও শনিবার ভাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গল ও মাতারার মতো জেলাগুলিতে ৭৫ শতাংশ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে ম্যাচের কপাল মন্দই বলতে হবে।
তবে বৃষ্টির আশঙ্কা আর যাই হোক, ভারত-পাক (India-Pakistan) ম্যাচের উপর থেকে উত্তেজনা সরিয়ে দিতে পারেনি। না পারার কারণ এটাই যে, আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো ইভেন্ট ছাড়া এই দু’দলের পারস্পরিক মোকাবিলা অনেকদিন বন্ধ। তাই যখন-যেখানে এই দুটি দল মাঠে নেমেছে, উত্তেজনার পারদ চড় চড় করে ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। নিরপেক্ষ দেশেও ছবির কোনও বদল হয়নি।
আরও পড়ুন- ধ্বংসের মুখোমুখি আমাদের সংবিধান
কপাল ভাল যে, শুক্রবার ভারতীয় দল (India-Pakistan) বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে মহম্মদ সিরাজকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা শ্রীলঙ্কায় এসেছি। এশিয়া কাপ নিয়ে আমরা খুব উত্তেজিত। ভিডিওতে ফান সেশনে জুনিয়র ব্রিগেডকে দেখা গিয়েছে। ছিলেন শুভমন গিল, ঈশান কিসান, সূর্যকুমার যাদব, মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুররা। এখানে তাঁদের মজা করতে দেখা গিয়েছে। দিন-রাতের ম্যাচ বলে ভারতীয় দল এদিন সন্ধ্যায় প্র্যাকটিস করেছে। সেখানে রোহিত শর্মাকে তাঁর ছেলেদের সামনে বক্তব্য রাখতেও দেখা যায়।
হাইব্রিড মডেলের অংশ হিসাবে ভারত টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তান খেলছে তাদের দেশে। শুধু ভারতের সঙ্গে তাদের খেলতে হবে শ্রীলঙ্কায়। টুর্নামেন্টের ফাইনাল কলম্বোয় ১৭ সেপ্টেম্বর। পাকিস্তান ম্যাচই টুর্নামেন্টে রোহিতদের প্রথম ম্যাচ। বাবররা মুলতানে প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানে হারিয়ে এসেছেন। তবে সেই ম্যাচে শাহিন আফ্রিদি পাঁচ ওভারের বেশি বল করেননি। তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মাঠ থেকে। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল।
শাহিন অনেকদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। বুমরাও তাই। দু’জনেই তাঁদের দলের পেস আক্রমণের প্রধান অস্ত্র। বুমরা আয়ারল্যান্ডে সফল প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। শ্রেয়স আইয়ারও চোট সরিয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কে এল রাহুল প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। চোটমুক্ত হয়ে দলে ফিরলেও আবার সামান্য চোট পেয়েছেন। ফলে ঈশান এই ম্যাচে উইকেটের পিছনে দাঁড়াবেন। ব্যাট করতে নামবেন মিডল অর্ডারে।
ভারত-পাক ম্যাচে নজর থাকবে রোহিত আর বিরাটের দিকেও। বিরাট শেষবার এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন। বাবরদের দিক থেকে তাঁর উইকেট সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর বুমরাদের চোখ থাকবে বাবর ও রিজওয়ানের দিকে। এরমধ্যে আবার প্রথম ম্যাচে বাবরের সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন ইফতিকারও। পাকিস্তানের টপ অর্ডার অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে ভারতীয় বোলিংয়ের কাছে। তবে তাদের জন্য চাপ হল বুমরার মাঠে থাকা।