৮৯৩১টি শিবিরে ৩৫ রকমের সুবিধার আবেদন

প্রথমদিনেই ৫ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারে

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা সহজে সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুক্রবার থেকে রাজ্যজুড়ে সপ্তম দফায় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar-WB) শিবির চালু হয়েছে। প্রথম দিন রাজ্যে ৮৯৩০টি শিবিরে ৩৫ রকমের সুবিধার আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। শিবিরগুলিতে ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৪৫ জন এসেছেন বলে সরকারি ভাবে জানান হয়েছে। জেলাওয়াড়ি হিসেব বলছে, সবচেয়ে বেশি ৮৬,৭৫২ জন মানুষ এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিবিরগুলিতে। এরপর রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে এসেছেন ৭০,৭৬৩ জন। তিন নম্বরে রয়েছে নদিয়া। সেখানে এসেছেন ৪৮,৫৫৬ জন। এইবার প্রথম দফায় আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৮৭৩টি শিবিরের আয়োজন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জমা পড়া সব আবেদন পরীক্ষা করে আগামী ১৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে পরিষেবা সুবিধা প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সপ্তম দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্যভাতার আবেদন করতে পারবেন সবাই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‌এবার চারটি নতুন পরিষেবা দুয়ারে সরকার শিবির থেকে পাওয়া যাবে। জয় জওহর প্রকল্পে এবং তফসিলি বন্ধু প্রকল্পে এতদিন তফসিলি উপজাতি ও জাতির ৫৯ বছরের বেশি প্রবীণরাই আবেদন করতে পারছিলেন। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা ৬০ হয়ে গেলে বার্ধক্যভাতা পাচ্ছিলেন। এবার রাজ্যের যে কোনও প্রবীণ মানুষই আবেদন করতে পারবেন। এই ভাতা পাওয়ার শর্তাবলি মেনে আবেদন করলেই তাঁরা বার্ধক্যভাতা পেয়ে যাবেন। মাসে ১ হাজার টাকা করে এই ভাতা পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও এবার দুয়ারে সরকার শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের দপ্তরের উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ এই শিবির থেকেই হবে। এছাড়াও তাঁতি ও হস্তশিল্পীরা নানা ধরনের সুযোগ পেতে এই শিবিরে আবেদন করতে পারবেন। শুক্রবার থেকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar-WB) কর্মসূচি চলবে। ২ লক্ষ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ শিবির। শিবিরে আবেদনপত্র গ্রহণের পর পরিষেবা প্রদান করা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।‌ এই শিবিরের কথা সাধারণ মানুষের কাছে জানাতে মাইকিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। লোকশিল্পীরা থাকছেন প্রচারের কাজে।

আরও পড়ুন- ম্যাসিডোনিয়ার সিস্টার সিটি হবে কলকাতা

Latest article