প্রতিবেদন : খেতাব জয়ের স্বপ্নে মিশেছে বদলার গন্ধ। মোহনবাগান (Mohun Bagan- Derby) শিবিরে একটাই রিংটোন, বদলা এবং ট্রফি— দুটোই চাই। জেসন কামিন্স থেকে আর্মান্দো সাদিকু, শুভাশিস বসু থেকে মনবীর সিং, সকলেই চান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি হারের মধুর প্রতিশোধ।
যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে শনিবার ডার্বির চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারে মোহনবাগান (Mohun Bagan- Derby)। ফুটবলারদের ক্লান্তির জন্য কোচ জুয়ান ফেরান্দো প্রথম একাদশ ঠিক করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সাংবাদিক বৈঠকে এসে জুয়ান বলে যান, তিনি অপেক্ষা করবেন ফাইনালের দল গড়ার জন্য। তবে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা তেতে আছেন ফাইনাল নিয়ে। কামিন্স, সাদিকু, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের গলায় এক সুর, ডুরান্ড কাপে প্রথম ডার্বি হারের বদলা চাই।
কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথম ডার্বি হার থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আর একই ভুল করতে চাই না। আমাদের কাছে ফাইনাল বদলার ম্যাচ। একইসঙ্গে মরশুমের প্রথম ট্রফিও চাই। তাই বদলার সঙ্গে ট্রফিতে চুম্বন করতে আমরা মুখিয়ে আছি।’’ মনবীর, শুভাশিসরাও মরশুমের প্রথম ফাইনাল নিয়ে উত্তেজিত। ফাইনালে বদলার ডার্বি জিতে আগের বড় ম্যাচ হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে চায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
বাগানের নতুন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার প্রথম কলকাতা ডার্বি খেলবেন রবিবার। বললেন, ‘‘ডার্বির ব্যাপারে শুনেছি। সবাই মুখিয়ে এই ম্যাচের জন্য। শারীরিকভাবে হয়তো আমরা ১০০ শতাংশ ফিট নই। তবে মানসিকভাবে প্রস্তুত।’’ কামিন্স-মনবীর-সাদিকুদের থামিয়ে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা বলছেন, ‘‘আমরা আরও একবার ডার্বি জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। দুটো দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইনাল।’’
আরও পড়ুন-এশিয়াড সোনায় চোখ প্রজ্ঞানন্দের, আনন্দকে সরিয়ে এক নম্বর গুকেশ