সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : শেষরক্ষা হল না। জোর করে চেয়ারম্যান-সহ দলের পাঁচ সদস্যকে এতদিন দলে থাকতে বাধ্য করেছিল কংগ্রেস। বুধবার তাঁরা সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে ১২ সদস্যের ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রায় মুছে গেল কংগ্রেস। হাতে থাকল মাত্র দুই। তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা ৫ থেকে বেড়ে হল ১০। নির্দল পুরপ্রধান নিজেই কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়েছেন। তিনিই পুরপ্রধান থাকছেন। উপপুরপ্রধান পদে নতুন মুখ আসবে। হঠাৎই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলার বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার। দলবদলের ইচ্ছা জানিয়ে যোগাযোগ করেন বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো ও জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি উজ্জ্বল কুমারের সঙ্গে। বিকেলে এই দুই নেতা এবং পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। উজ্জ্বলকুমার বলেন, কংগ্রেসের নেতিবাচক মনোভাবের জন্য ঝালদায় (Jhalda Municipality) উন্নয়ন হচ্ছিল না। ফলে বিরক্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলাররা। তাঁদের দলে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, ঝালদার মানুষ এবার যথাযথ নাগরিক পরিষেবা পাবেন। ঝালদায় বোর্ডগঠনের ম্যাজিক ফিগার ছিল ৭। প্রথমে দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গড়ে তৃণমূলই। কিন্তু পরে শীলা ও সোমনাথ সমর্থন তুলে নেন এবং সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। শীলা নির্দলই থেকে যান। কংগ্রেস শীলাকে পুরপ্রধান করার প্রস্তাব দিলে তিনি তাদের সমর্থন করেন। এবার শীলা ও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ফের পুরসভায় ক্ষমতায় ঘাসফুল। শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি। সেই জন্য মানুষ আমাকে ভোটে জিতিয়েছেন। সেই কাজ করার জন্যই আজ তৃণমূলে এলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে।’ অন্যদিকে নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু বলছেন, ‘আরও ভাল উন্নয়নের লক্ষ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। আদালতের নির্দেশে কাকার মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চলছে। যারা দোষী তারা সাজা পাবে। কিন্তু আমাদের জন্য ঝালদার মানুষ যাতে কষ্টে না থাকেন, তার জন্যই এই যোগদান।’
আরও পড়ুন- শহরের কলেজ-পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার