প্রতিভা (Pratibha Maity) ২০১৮-য় জেলা পরিষদের নারীসুরক্ষা সমাজকল্যাণ দফতরের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তার আগে ছিলেন নারায়ণগড়ের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। মেডিক্যাল প্রোপাইটার ও একটি নার্সারি স্কুলের পরিচালকও তিনি। একই সঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালনে রীতিমতো সিদ্ধহস্ত এই মহিলা (Pratibha Maity)।
কীভাবে রাজনীতিতে এলেন?
উঃ বাম জমানার শেষের দিকে যখন শিক্ষিত সমাজকে পিছনে ফেলে রাখত তখন থেকে প্রতিবাদ করতাম এবং সেই থেকেই রাজনীতিতে আসা। ঘটনা হল, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং সমাজে ভাল কাজ করার জন্য একটা জায়গা পেয়েছি।
আগামী দিনে কী কী কাজ করার পরিকল্পনা?
উঃ পানীয় জল, রাস্তাঘাট, কৃষিপ্রধান এলাকায় সেচের ব্যবস্থা হয়েছে। কাজের অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জেলায় যথেষ্ট কাজ হয়েছে। তবুও আরও অনেক কাজ রয়েছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার প্রথম কাজ।
কর্মাধ্যক্ষ থেকে একদম সভাধিপতি কীভাবে কাজ করবেন।
উঃ একটি সংসারে সবাইকে নিয়ে যেভাবে চলতে হয় সেভাবেই আলোচনার মাধ্যমে কাজ রয়েছে যথেষ্ট সেসব কাজকে এগিয়ে যাওয়া। এছাড়াও অজিত মাইতি বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের দ্বিতীয়বারের জন্য সহ-সভাপতি হয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে জেলা পরিষদের সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।
জেলায় বিরোধীরা নানাভাবে বাগড়া দেয় ও দেবে, সেগুলো সামলাবেন কীভাবে?
উঃ বিরোধীরা বিরোধীদের কাজ করবে। নানাভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, তাই উন্নয়নের কাজ আমরা করবই। কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কিছু জায়গায় সমস্যা হলে সেটা আলোচনা করে এবং সমাধান খুঁজে উন্নয়ন করাই লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য মাশুল গুনতে হচ্ছে ওদের
কাজের ব্যাপারে কোন মডেল অনুসরণ করবেন?
উঃ যেভাবে আমাদের দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই পথেই আমরা এগোব। ওঁর দেখানো পথেই জেলা পরিষদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
অনেক বড় দায়িত্ব পেলেন, তার ওপরে আপনার অন্য পেশাও রয়েছে। সব দিক সামলাবেন কী করে?
উঃ মানুষকে পরিষেবা ঠিকভাবে দেওয়াটাই আমার প্রথম কাজ এবং আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং মানুষের জন্য কাজ করা সবার আগে। অন্য যে পেশা রয়েছে, সেগুলোও পাশাপাশি যথাসম্ভব পালনের চেষ্টা করব। মানুষের জন্য কাজ করতে ভাল লাগে। সমাজের উপকার করব, ভাল কাজ করব সেটাই লক্ষ্য। জেলায় লোকসংগীত ও অন্য যেসব শিল্প রয়েছে যাতে কর্মসংস্থান হয়, সেগুলোকে নজর দিতে হবে। ভাল কাজের মাধ্যমে জেলাকে দৃষ্টান্ত হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।
জেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু আবেদন রাখবেন?
উঃ জেলা তো রাজ্যের বাইরে নয়! ২০১১-র পর যেভাবে বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে, রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল সবদিক থেকেই এগিয়ে বাংলা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী দিনে যেসব ফান্ড রয়েছে তার সাহায্যেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বিভিন্ন ফান্ডে যেসব কাজ রয়েছে সেই কাজ করে যাব। দিদিকে কিছু বলতে হয় না, দিদি যেখানে আছেন তিনি নিজেই সেখান থেকে সমস্ত দিকে নজর রাখেন। সার্বিকভাবে উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই উনি এগিয়ে চলেছেন। উনি না চাইতেই দিয়ে দেন। ওঁর দেখানো পথেই আমি উন্নয়নের নিরিখে জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।