প্রতিবেদন : শুক্রবার বিকাশ ভবনে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ডাকা হয়েছিল। এসেছিলেন ১২ জন। ১৯ জন আসেননি। যা অভাবনীয়। সরকার ডাকছে, রেজিস্ট্রার আসেননি। অভিযোগ, রাজভবন থেকে মেসেজ করে শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister Bratya Basu) বৈঠকে না আসার জন্য বলা হয়। হাড়হিম-করা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। হুমকির বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে শিক্ষাবিদদের। ভয়ে আসেননি রেজিস্ট্রাররা। যাঁরা আসেননি তাঁদের শোকজ (Show cause letter) করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বলেন, রাজ্যপাল স্বৈরাচারী। পদের অপব্যবহার করছেন সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার মূলত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডাকা হয়েছিল। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের হুমকি, তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্তার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্যে রাজ্যপালকে এদিন ধুয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) সরাসরি ভিডিও বার্তা দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী, কথা হতে পারে কেজরির সঙ্গেও
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকালে ধরনায় বসেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে ধরনায় বসে উপাচার্যদের সংগঠন ‘দ্য এডুকেশনিস্ট’স ফোরাম’। রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন তাঁরা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শিক্ষায় নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টার অভিযোগ প্রাক্তন উপাচার্যদের। প্রাক্তন উপাচার্যদের এই ধরনায় শামিল সুবোধ সরকার, শিবাজিপ্রতিম বসুরাও। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষায় অচলাবস্থা তৈরির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। এরই পাশাপাশি রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। গত ৩-৪ মাস ধরে উচ্চশিক্ষায় অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, এর জেরে পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা।