নকীবউদ্দিন গাজি: এবার ড্রাগন ফলের চাষের ক্ষেত দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর এলাকাতেও। স্বনির্ভর মহিলা দের উদ্যোগে এই প্রায় তিনশত মহিলা এলাকার ২০ কিলোমিটার নদী বাউন্ডারিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছে। এর পাশাপাশি প্রতি এক কিলোমিটারে যে কয়টি ড্রাগন গাছ রয়েছে সেইসব গাছে উৎপন্ন ফল বাজারে বিক্রি করা হয়। সেই অর্থ মহিলার মধ্যে ভাগ করা হয়।বিভিন্ন ধরনের মাটিতে এবং কম জল ব্যবহার করেও সহজেই এই ফলের চাষ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রেটেই দিতে হবে খরচ, বিদেশিদের চিকিৎসায় নয়া গাইডলাইন
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে তন্তু বা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য এবং এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই বিক্রি করে মুনাফাও হয় ব্যাপক। সুন্দরবনের রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর বন্যা কবলিত এলাকা। তাই এখানকার মাটি অনেকটাই লবণাক্ত। এই ড্রাগন চারাগুলিকে লবণাক্ত মাটির উপযোগী করে তোলা হয়। তারপর ওই চারাগুলিকে নদী বাউন্ডারিতে রোপন করা হয়েছে। মূলত রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর এলাকায় উপার্জনের জন্য বাড়ির পুরুষেরা কেউ ভিন রাজ্যে আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ কাকড়া ধরতে যান। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে এই ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য পদ্ধতি এবং নিয়ম-কানুন জেনে নেন স্বনির্ভর দলের মহিলারা তারপরেই এই চাষ শুরু করে স্বনির্ভর দলের মহিলারা বর্তমানে পরিত্যক্ত নদী বাউন্ডারিতে ড্রাগন চাষের ফলে এলাকার মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন।
আরও পড়ুন-আবেদনে শীর্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
পাশাপাশি বাড়ির পুরুষদের ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে। এমনকী, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে কিংবা নদীতে মাছ কাকড়া ধরতে যাওয়ারও প্রয়োজনীয়তাও কমেছে। কারণ এই ড্রাগন চাষের কাজে এলাকার মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও সামিল হয়েছেন। আস্তে আস্তে মিটছে আর্থিক সমস্যা।