প্রতিবেদন : জাতিগত শংসাপত্র এবার থেকে মিলবে শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতর থেকেই। জেলাস্তরে জাল জাতিগত শংসাপত্র জারি হওয়ার অভিযোগ ওঠায় রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে কঠোর করার উদ্দেশ্যে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমত, এখন থেকে জাতিগত শংসাপত্র শুধুমাত্র জেলাশাসক স্তর থেকেই দেওয়া হবে। এর আগে মহকুমা আধিকারিক স্তরে এই শংসাপত্র পাওয়া যেত। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে তা আর পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনের পরিত্যক্ত জমিতে ড্রাগন ফলাচ্ছেন মহিলারা
এই বিষয়ে ঘন ঘন অভিযোগ ওঠার পর রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে যে মহকুমা আধিকারিক স্তর থেকে এমন বহু ব্যক্তি এই শংসাপত্র পেয়েছেন যাঁদের পদবি তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় নেই। রাজ্য সচিবালয় থেকে এইসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করছে রাজ্য। যাঁদের পদবি তফসিলি পদের তালিকায় না থাকা সত্ত্বেও এই জাতীয় জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ, অবিলম্বে তা খতিয়ে দেখে, পরীক্ষা করে এবং কোনওরকম অনিয়ম হলে সেই শংসাপত্র বাতিল করতে হবে বলেও স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রেটেই দিতে হবে খরচ, বিদেশিদের চিকিৎসায় নয়া গাইডলাইন
লক্ষণীয়, বিষয়টি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইতিমধ্যেই তিনজন আমলাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জাতিগত শংসাপত্র থাকা সত্ত্বেও যাঁদের নাম নির্ধারিত পদবি তালিকায় নেই তাঁদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে কোনও শংসাপত্র বাতিল করা হবে না। রাজ্য সচিবালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট দফতরে এসে তাঁর পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির যুক্ত সন্তোষজনক হলে তবেই তাঁকে জাতিগত শংসাপত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি ওই ব্যক্তির উত্তর সন্তোষজনক না হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের শংসাপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে।