প্রতিবেদন: স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় শনিবার গ্রেফতার করা হল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডুকে। এদিন ভোরে সিআইডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের যৌথবাহিনী টিডিপি নেতাকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে অন্ধ্রের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন-ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুনকের বার্তা খালিস্তানিদের
গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছে চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। দলের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই অন্ধ্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি হেনস্থা করছেন চন্দ্রবাবুকে। ধৃত টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু বলেছেন, আমি কোনও দোষ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা হল, জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমানে অন্ধ্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিরোধী দল টিডিপি দু-পক্ষই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলে।
আরও পড়ুন-ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুনকের বার্তা খালিস্তানিদের
বছর দুয়েক আগে ২০২১ সালে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। টিডিপি সূত্রের খবর, দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়ালে ছিলেন চন্দ্রবাবু। একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পরে ভ্যানিটি ভ্যানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। শনিবার ভোরে সেখানেই হানা দেয় সিআইডি এবং অন্ধ্র পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন নান্দিয়ালের ডিআইজি রঘুরামি রেড্ডি। সকাল ৬টা নাগাদ চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করে ভ্যানিটি ভ্যান থেকে বার করে আনা হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিজয়ওয়াড়ার একটি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-জাল জাতিগত শংসাপত্র রুখতে আরও কঠোর প্রশাসন, শুধুমাত্র জেলাশাসকই দেবেন শংসাপত্র
ঘটনাচক্রে, শুক্রবারেই চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে জনসাধারণের টাকা লুট করার অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সমাজকল্যাণমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা মেরুগা নাগার্জুন। তারপরই শনিবার গ্রেফতার করা হল তাঁকে।
গ্রেফতারির ঘটনার পর টিডিপি সাংসদ কে শ্রীনিবাস শনিবার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। অন্য দিকে, টিডিপি মুখপাত্র কোমারেড্ডি পট্টভিরাম শনিবার বলেন, চন্দ্রবাবু ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান। তাঁকে যে পদ্ধতিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। রাজনৈতিক কারণেই এই হেনস্থা।