প্রতিবেদন: ফের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুর কেন্দ্রে বিজেপি কিছুটা লড়াইয়ের জায়গায় থাকলেও, বারেবারে সেখানে প্রচারে গিয়ে মুখে চুনকালি মাখছেন শুভেন্দু অধিকারী, আর বিধানসভায় নিজেদের জেতা এই আসনে তৃণমূলকে কার্যত “ওয়াক ওভার” দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিস্ফোরণ
এর মধ্যে শান্তিপুরে ফের একটি “ফ্লপ শো” উপহার দিলেন শুভেন্দু। উপনির্বাচনের আগে কর্মীশূন্য তাঁর জনসভা। কেন এমন অবস্থা? প্রশ্ন করা মাত্রই মেজাজ হারিয়ে রে রে করে উঠলেন অধুনা বিজেপি নেতা। প্রার্থী নীলাঞ্জনা বিশ্বাসের সমর্থনে শান্তিপুরে এক জনসভার আয়োজন করেছিল স্থানীয় নেতৃত্ব। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ জেলার প্রথম সারির নেতৃত্ব। কিন্তু সভাস্থল খাঁ খাঁ। লোক হয়নি, এমনকি দলের পরিচিত কর্মী-সমর্থকরাও শুভেন্দু আসায় মুখ ফিরিয়েছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ”কোভিড বিধি মেনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিয়ে সভা করা যায় না। এই সভায় এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল।” যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সমাবেশে ছিল কার্যত কর্মীশূন্য ছিল। মঞ্চের সামনের অধিকাংশ জায়গা ফাঁকা পড়েছিল। ফলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উপনির্বাচনের প্রাক্কালে কর্মীসভার শূন্যতাই প্রমাণ করছে, ব্যালটের যুদ্ধে অস্বস্তিতে পড়বে বিজেপি। শান্তিপুরে অনেকটাই এগিয়ে শাসক তৃণমূল।
এদিকে, ফাঁকা মাঠেও সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলতে পিছপা হলেন না শুভেন্দু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি প্রথম থেকে বাংলাদেশর অশান্তির ঘটনা তুলে আনেন। বিভাজনের উষ্কানীমূলক বক্তব্য রেখে ভোটের মেরুকন করতে চাইছেন শুভেন্দু। তাঁর এমন ঘৃণ্য রাজনীতির তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে প্রচারে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মেজাজ হারানো প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষও করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলে ট্যুইটে ফের বোমা ফাটালেন বিজেপি সাংসদ স্বামী
তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”শুভেন্দু অধিকারী যে অহংকার নিয়ে কথা বলছেন, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে অতি শীঘ্রই রাজ্য থেকে সাফ হয়ে যাবে বিজেপি। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলমত নির্বিশেষে মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারেন। ধর্ম নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করে তাঁদেরকে মানুষ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করবে।”