প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা ভোটে দিল্লি টু বাংলা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও তৃণমূলের কাছে গো-হারা হারতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। তারপর থেকেই শুরু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কখনও তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে লাগাতার হেনস্থা করা হচ্ছে তো কখনও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কারণ, শুরু থেকেই বিজেপির প্রতিহিংসা নিয়ে সরব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক (Shashi Panja- Partha Bhowmik)।
তাঁদের (Shashi Panja- Partha Bhowmik) কথায়, সম্প্রতি আবার ধূপগুড়ির জেতা আসন অভিষেকের মাস্টার-স্ট্রোকে হারাতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। যা আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। সেই প্রতিহিংসা থেকেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ফের অভিষেককে ইডির তলব।
আরও পড়ুন-স্পেন সফরের আগে প্রশাসনে রদবদল
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, ধূপগুড়ির আসনটি ছিল বিজেপির দখলে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হারটা মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। আর সেই রাগই অভিষেকের উপর মেটানো হচ্ছে। দলবদলু গদ্দারের প্রসঙ্গ টেনে পার্থ ভৌমিক বলেন, আসলে অভিষেকের শিরদাঁড়া সোজা, শুভেন্দুর মতো শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি। সে-কারণেই বারেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির দিনগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে তাঁকে হেনস্তা ও বিব্রত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পান না৷ সেটা আগামিকাল ফের প্রমাণ হয়ে যাবে।