আর মাত্র কয়েকদিন পরেই দুর্গা পুজো। ঠিক এর আগেই আড়াইশো থেকে তিনশো বাস (Bus-West Bengal) কিনছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। একইসঙ্গে জোরকদমে বহু পুরনো বাসগুলিকেও মেরামতির কাজ চলেছে। মেরামতির কাজ শেষ হলেই তা রাস্তায় নামবে। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি আরও জানিয়েছেন, আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে ইলেক্ট্রিক বাসের ডেলিভারি। এই পরিস্থিতিতে গণপরিবহণে সংকট কাটাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন সিএনজি ও বিদ্যুৎচালিত বাস রয়েছে, তেমনই রয়েছে ডিজেলচালিত বাসও।
গত বছর অগাস্ট মাসে ১হাজার ১৮০টি বিদ্যুৎচালিত বাস (Bus-West Bengal) সরবরাহের জন্য টাটা মোটর্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই চুক্তি অনুসারে চলতি বছর মার্চ মাসের মধ্যে ৫৫০টি বাস পাওয়ার কথা ছিল। কলকাতায় সমস্ত ডিজেলচালিত বাস বাদ দিয়ে সেখানে বিদ্যুৎচালিত বাস নামোনোর পরিকল্পনা ছিল রাজ্য পরিবহন দফতরের। কিন্তু এদিন পরিবহণমন্ত্রী জানালেন, আদালতে মামলা হওয়ায় এখনও পর্যন্ত সেই বাস হাতে পাওয়া যায়নি। ওদিকে ব্যবহারযোগ্য না থাকায় নিয়মিত বসে যাচ্ছে একের পর এক সরকারি বাস। তার ওপর সামনেই পুজো। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে জরুরি ভিত্তিতে ২৫০টি বাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। এর মধ্যে সব রকম জ্বালানি চালিত বাসই থাকবে।
আরও পড়ুন- শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি বলেই এজেন্সিকে দিয়ে হেনস্থা অভিষেককে
মন্ত্রী আরও জানান, যে সমস্ত বাসের সিট ছিঁড়ে গিয়েছে বা রং চটে গিয়েছে সেগুলিকে মেরামত করে ঝকঝকে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ কিছুটা হলেও বাড়বে। এছাড়া তিনি বলেন, দূরপাল্লার বাসের মতো শহরের বাসেও যাতে অনলাইনে টিকিট কাটা যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন বাসেও তা থাকবে। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে কনডাক্টরের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।