রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। কারণ উত্তরবঙ্গের মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর মানেই উত্তরবঙ্গের প্রাপ্তি। পাহাড় থেকে সমতল সব সম্প্রদায় ও সব ভাষাভাষীর মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে দিয়েছেন উন্নয়নকে। পরিবর্তনের সরকার আসার পর পাহাড় এখন হাসছে। যা এখনও বাস্তব। তবে এবারের সফর এক অন্য মাত্রা পাবে। কারণ সাম্প্রতিক ধস ও বৃষ্টির জেরে এলাকাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রস্তুত রাখছে পুরসভাগুলি। পূর্ত দফতরের নর্থ বেঙ্গল হাইওয়ে সার্কেল পিডব্লুডি রোড ডিরেক্টরেট দফতরের কাছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং—এই চার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার হিসাব চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। স্বভাবতই এইসব ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চাওয়া হবে। দার্জিলিং পাহাড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সমস্তটাই খতিয়ে দেখবেন তিনি। আজ ২৪ অক্টোবর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হচ্ছে। ২৪ অক্টোবর বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন। বিকেলে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনী বাঘাযতীন ময়দানে উপস্থিত হবেন। ২৫ অক্টোবর উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক অধিকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক রয়েছে। ২৬ তারিখ কার্শিয়াংয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে তিন জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করবেন, এমনটাই সামনে আসছে। এজন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন : বোলারদের দাপটে জয় ফিঞ্চদের
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে সমস্ত দফতরকে নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠক এদিন হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে পুলিশের বিজয়া সম্মেলনী মাঠের চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা থাকছে। মঞ্চ ও ঢোকার মুখে বাড়তি নিরাপত্তার মোতায়েন করে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর। থাকছে পুলিশের কুকুরও। বাগডোগরা থেকে বাঘাযতীন পার্ক ও উত্তরকন্যা পর্যন্ত রাস্তায় থাকা ট্রাফিক পয়েন্টগুলি-সহ অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের সম্পূর্ণটাই লক্ষ রাখা সম্ভব হবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে। ব্যবহার করা হবে ড্রোন ক্যামেরাও। বাগডোগরা বিমানবন্দর-সহ নৌকাঘাট মোড়, মেডিক্যাল মোড়-সহ একাধিক জায়গায় সমর্থকদের ভিড় সামাল দিতে হচ্ছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকঢোল ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানাবেন কয়েকশো মহিলা। বেঙ্গল সাফারির তিন রয়্যাল বেঙ্গল ব্যাঘ্রশাবকের নামকরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন পাঠিয়েছে বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ।