নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: মোদি সরকার লোকসভা ভোট কিছুটা এগিয়ে আনতে পারে ধরে নিয়েই বিজেপি বিরোধী নির্বাচনী জোটের ফরমুলা যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত করার পক্ষে মত দিয়েছে ইন্ডিয়ার দলগুলি। এর আগে একই কথা বলেছেন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত দ্রুত সম্ভব আসন ভাগাভাগির কাজও সেরে ফেলার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির (INDIA alliance Coordination Committee meeting) বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে অক্টোবর পর্যন্ত সময় নিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। অবশ্য একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই আসন সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বলে জোট সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই আসন সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গোয়াতেও আসন সমঝোতা একপ্রকার নিশ্চিত। জানা গিয়েছে, গতবারের লোকসভা অথবা গতবারের বিধানসভা অথবা দুটি মিলিয়ে বিশ্লেষণ করেই আসন সমঝোতা করা হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শক্তিশালী দলের অবস্থানও বিশেষ ভূমিকা পালন করবে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন – কাশ্মীরে প্রাণ দিচ্ছে সেনারা আর মোদি ব্যস্ত জি-২০’র সাফল্য উদযাপন নিয়ে
ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম সমন্বয় বৈঠকে কয়েকটি রাজ্যের জন্য আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত। যেমন জম্মু-কাশ্মীরে ৭টি আসনে এনডিপি-পিডিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে কথা হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসন, তামিলনাড়ুতে ৪০টি আসন এবং বিহারেও ৪০টি আসনে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত। শুধুমাত্র আপ এবং কংগ্রেসের ২০টি আসন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে বিশেষ অধিবেশনের পর ইন্ডিয়া জোটের (INDIA alliance Coordination Committee meeting) যে বৈঠক হবে সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস পরিচালিত ১০০টি আসনে কোনও সমস্যা নেই বলেই ইন্ডিয়া জোটের দাবি। যে সমস্ত রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত সেই সমস্ত রাজ্যে কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী থাকবেন। যেমন জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ফারুক আবদুল্লাহ, মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে শরদ পাওয়ার এবং তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে এম কে স্টালিন। ইন্ডিয়া জোটের এক নেতার কথায়, সারা দেশের মোট ১৫০টি আসনে সমঝোতা পর্ব প্রায় হয়ে গিয়েছে। পারস্পরিক আলোচনার রফাসূত্র বের করতে না পারলে ভিন রাজ্য থেকে কোনও নেতাকে নিয়ে গিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করারও ভাবনাচিন্তা রয়েছে ইন্ডিয়া শিবিরের।