কলম্বো: নেট দুনিয়ায় রোভিড জুটি এখন তোপের মুখে। বাংলাদেশের কাছে হারের পর রোহিত-দ্রাবিড়কে নিয়ে আমজনতা খেপে লাল। বলে দেওয়ার দরকার নেই, বিরাট-হার্দিক-সহ পাঁচজন প্রথম দলের প্লেয়ারকে বাইরে রেখে ম্যাচ হারা একদমই পছন্দ হয়নি ভক্তদের। সবাই জয় দেখতে চান। বিশ্বকাপ আর তার দল নিয়ে এত পরীক্ষায় কারও আগ্রহ নেই!
এই আবহে রবিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা (India-Sri Lanka) এশিয়া কাপ ফাইনাল। লঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শনাকা আগে থেকে ভারতকে এগিয়ে রেখেছেন। আধুনিক ক্রিকেটে এটাই গেমম্যানশিপ। ম্যাচের আগে বিপক্ষকে ফেবারিট বলে দাগিয়ে দাও। ব্যাস, জনতার প্রত্যাশার চাপ গিয়ে পড়বে তাদের উপর। এবার তুমি খোলা মনে খেল। তবে রোহিত-বিরাটরা এসবে অভ্যস্ত। শুধু বাংলাদেশ ম্যাচে হারের খোঁচা নিয়ে তাঁদের খেলতে হবে, এই যা।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে থেকে ভারত-পাক ফাইনালের হাওয়া উঠেছিল। শ্রীলঙ্কা সেই হাওয়ায় জল ঢেলেছে। তবে তথ্য বলছে, ভারত আর পাকিস্তান কখনও এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেনি। সুতরাং এবারও হয়নি। তবে ফাইনাল সেই প্রেমদাসা স্টেডিয়ামেই। সঙ্গে আছে রিজার্ভ ডে। যা নিয়ে খুব বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অর্জুন রণতুঙ্গা। তাঁর বক্তব্য হল, হলে সব ম্যাচেই রিজার্ভ ডে থাকবে। বেছে বেছে কেন?.তিনি খোঁচা দিয়ে বলেছেন, এবার বিশ্বকাপের নিয়মও বদলে যেতে পারে! ভারতীয় বোর্ড এতটাই শক্তিশালী।
আরও পড়ুন- কুলদীপের না খেলার সুযোগ নিল বাংলাদেশ, শাস্ত্রী বললেন
ফাইনালে আবার পুরো শক্তির দলে ফিরবে ভারত (India-Sri Lanka)। অর্থাৎ দলে আসবেন বিরাট, বুমরা, হার্দিক, কুলদীপরা। শ্রেয়স? যাঁকে এখন ম্যাচের বদলে নেটে বেশি দেখা যায়। তবে মনে হয় না খেলার বাইরে থাকা এই ব্যাটারকে দুম করে ফাইনালে নামিয়ে দেবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে ঈশান কিশান আরও একটা সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু রোহিতদের মাথাব্যাথা হতে পারে শামিকে নিয়ে। বাংলাদেশ ম্যাচে ভালই বল করেছেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে শার্দূলও তাই। শুধু যে জন্য তিনি অগ্রাধিকার পাচ্ছেন, সেই ব্যাটিংয়ে ফেল। হরভজন সিংয়ের মতো পণ্ডিত অবশ্য আগেই বলেছেন, সাত ব্যাটারের দলে আর লোক লাগবে কেন? তবে অক্ষর প্যাটেলের চোট রয়েছে। তাঁর ব্যাকআপ হিসাবে উড়িয়ে আনা হয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দরকে।
এশিয়া কাপের সবথেকে সফল দল শ্রীলঙ্কা। পরপর দুবার ফাইনাল খেলবেন বলে আগেই উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন শনাকা। তার উপর খেলবেন ঘরের মাঠে প্রেমদাসার ৩৫ হাজার দর্শকের সামনে। এটা যদি তাঁদের জন্য অ্যাডভান্টেজ হয়, তা হলে ধাক্কা অবশ্যই মহেশ থিকসানার চোট। তরুণ এই অফস্পিনার তাঁদের ওয়ান ডে প্ল্যানের অপরিহার্য অংশ। এখন তো শোনা যাচ্ছে তিনি বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত। প্রেমদাসাতে স্লো উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন। ডি’সিলভা, ওয়েলালাগেদের চ্যালেঞ্জ রোহিতদের জন্য আগের ম্যাচে ভারী পড়েছিল। সেটাই শনাকাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
বিশ্বকাপের আগে রোহিতরা আর হাতে পাবেন শুধু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তিনটি একদিনের ম্যাচ। তারপর বিশ্বকাপের দুটি ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ। সুতরাং রবিবারের ফাইনালে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে জাঁকিয়ে থাকবে বিশ্বকাপ ভাবনা। এশিয়া কাপের আবহেই বিশ্বকাপকে দেখবেন নিল জার্সিধারীরা। এশিয়া কাপ জয় শুধু এটা প্রমাণ করতে পারে যে, সঠিক রাস্তায় হাঁটছে দল। যদি তাই হয়, তাহলে গুরুত্ব হারাবে রোভিড-রোভিড রোষ।