ইউনেস্কোর তরফে বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পেল রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতন, গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী

নোবেলজয়ী (Nobel laurate) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে।

Must read

নোবেলজয়ী (Nobel laurate) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডির তরফে এই বছর শুরুতেই শান্তিনিকেতনকে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। আজ সরকারিভাবে ইউনেসকোর তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-৫ ওভারেই’ এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ভারত

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জায়গাটির বর্ণনা অনুসারে, “শান্তিনিকেতন, কলকাতার একশত মাইল উত্তরে আজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর হিসেবে পরিচিত। মূলত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা নির্মিত একটি আশ্রম ছিল সেখানে, যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ এসে এক পরম ঈশ্বরের ধ্যানে সময় কাটাতে পারে। এটি পরে নোবেলজয়ীর বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্রের ভিত্তি হয়ে ওঠে।”

আরও পড়ুন-ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হল শান্তিনিকেতন

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হল শান্তিনিকেতন। ভারত সরকার কর্তৃক দেওয়া একটি ফাইলের ভিত্তিতে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (ICOMOS), যেটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা এই সুপারিশ করেছিল। এই উপলক্ষে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আনন্দিত এবং গর্বিত যে আমাদের শান্তিনিকেতন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতন কবির সৃষ্টি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মানুষ তাঁর ঐতিহ্যকে সমর্থন করে আসছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গত ১২ বছরে এর পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছি। অবশেষে, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এই স্থানের গৌরবকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা বাংলাকে, ঠাকুরকে এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের শিক্ষাকে ভালবাসেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, প্রণাম গুরুদেব।’

 

Latest article