প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ে বিশেষ সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজ্যজুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ে একাধিক শর্তাবলি তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য জুড়ে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার ন্যূনতম ৩০০-৮০০ পরীক্ষার্থী থাকবে। তার কম পড়ুয়ার জন্য কোনও স্কুলকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি ও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা ব্যতিক্রম হিসাবে ধরা হবে।
আরও পড়ুন-ইডি সিবিআই এজেন্সি রাজনীতি, নিট ফল সেই মাইনাস টু
এর পাশাপাশি একক কোনও স্কুল এবার থেকে মেন ভেন্যু তথা একক পরীক্ষাকেন্দ্র হবে না। অন্তত তার অধীনে ন্যূনতম ২টি সাব ভেন্যু থাকতেই হবে। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র হতে হবে। পর্ষদ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নানা নির্দেশিকা জেলা কনভেনর ও জয়েন্ট কনভেনরদের পাঠানো হয়েছে। পর্ষদের অনুমোদিত কয়েকশো প্রাইভেট স্কুল থাকলেও এবার সেখানে পরীক্ষাকেন্দ্র করা যাবে না। তবে রামকৃষ্ণ মিশন, খ্রিস্টান মিশনারি এবং আর্য সমাজের স্কুলগুলি ব্যতিক্রম। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ও পরীক্ষা চলাকালীন অবসর নেবেন এমন শিক্ষক-কর্মীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলে তাঁকেও দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন-উদাসীন কেন্দ্র, তাসের ঘরের মতো পাঁচটি বাড়ি ডুবে গেল নদীগর্ভে
রাজ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নেই। ফলে ৩০০-র কম পরীক্ষার্থী থাকলে ও স্ট্যান্ড আলোন মেন ভেন্যু হলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী প্রয়োজন। সেজন্যই পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া যেসব স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র হবে, সেখানকার প্রধান শিক্ষকদের মুচলেকা দিতে হবে, পর্ষদের সম্মতি ছাড়া তাঁরা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোনও ছুটি নেবেন না। এমনকী সেই সব সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সন্তান প্রতিপালনের প্রাপ্য ছুটি নিতে পারবেন না। যদি না তাঁদের সন্তানরা মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল অন্য কোনও বোর্ডের পরীক্ষার্থী হয়।