প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিশের অপারেশনে নবতম সংযোজন। ৫টি ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা বসল কলকাতা মহানগরীতে। পুলিশের খাতায় অপরাধের রেকর্ড আছে এমন যে কোনও অভিযুক্তর গতিবিধি ধরা পড়ে যাবে এই ফেস রেকগনিশন ক্যামেরায়। কন্ট্রোলরুমে পৌঁছে যাবে অ্যালার্ট। পুরো অপারেশনের নেপথ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই।
আরও পড়ুন-ট্রেনেই বিশ্বকর্মার আরাধনা
হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডারদের গতিবিধির উপরে পুলিশ এতদিন নজর রাখত সোর্সের মাধ্যমে। এবারে সেইকাজে মদত দেবে ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এই ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে পুলিশ। রথযাত্রার পুরো পথও মুড়ে ফেলা হয়েছিল এই ক্যামেরায়। এখানেই শেষ নয়, কলকাতা পুলিশের অপারেশনকে আরও নিখুঁত করে তুলতে আসছে ৭০০ নতুন বডি-ক্যামেরা। বডি-ক্যামেরার ব্যবহার কলকাতা পুলিশে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবারে আসছে অত্যাধুনিকতার ছোঁয়া। বাড়ছে সংখ্যাতেও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ সহায়কের ভূমিকা নেবে এই বডি-ক্যামেরা। যে সব ট্রাফিক-সার্জেন্ট এবং পুলিশ অফিসাররা পথে নেমে কাজ করেন তাঁদের পোশাকে লাগানো থাকবে এই ক্যামেরা।
আরও পড়ুন-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তৈরি করছে বন দফতর
ঘটনাস্থলের ছবি সেই ক্যামেরার মাধ্যমে পৌঁছে যাবে লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেখান থেকেই স্থির হবে পুলিশের পরের পদক্ষেপ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও ফোর্স পাঠানো জরুরি কিনা। অডিও এবং ভিডিও দু’ধরনের রেকর্ডিং করা যাবে এই ক্যামেরায়। ১২০ থেকে ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত কোণে তোলা যাবে। এই ধরনের ওয়াটারপ্রুফ ক্যামেরার তাৎপর্য আরও একটি বিশেষ কারণে। নাকা-চেকিং করার সময় অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভযোগ ওঠে দুর্ব্যবহারের। কিন্তু সবসময় তা সত্যি নয় আদৌ। বডি ক্যামেরায় কিন্তু অনায়াসে ধরা পড়ে যাবে, কী ঘটেছিল আসলে। ভাঙড় যেহেতু কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে, তাই এখানকার নাকাচেকিং এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হবে এই বডি-ক্যামেরা।