প্রতিবেদন : আর কয়েক মাস পর শেষ হতে চলেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ। তবে তার আগেই কি পদচ্যুত হতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)? গত সপ্তাহেই বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নিয়ে শুরু হতে চলেছে শুনানি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রিপাবলিকানদের দখলে থাকা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের কমিটির প্রথম শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন- চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে মোদির কৃতিত্ব কোথায়? খোঁচা বিরোধীদের
রিপাবলিকানদের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল অবধি বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের (Joe Biden) ব্যবসা থেকে বিভিন্নভাবে লাভবান হয়েছিলেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বিরোধী রিপাবলিকানদের দাবি, তিনি (বাইডেন) যে নিরাপরাধ, তার সপক্ষে বিশেষ কোনও প্রমাণ দেননি। জানা গিয়েছে, হাউস ওভারসাইট কমিটি ছাড়াও আরও দুটি কমিটি এই তদন্তে অংশ নেবে। যেখানে প্রেসিডেন্ট পুত্র হান্টার বাইডেন ও ভাই জেমস বাইডেনের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও ব্যাঙ্ক রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে। যদি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়, তবে তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে ইমপিচমেন্ট বলা হয়। মার্কিন সংবিধানেই কংগ্রেসকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদি কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করে, তবে সেনেট ট্রায়াল শুরু করবে। সেখানে যদি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়ে, তবে তাকে পদ থেকে সরানো যায়। তবে বর্তমানে ডেমোক্র্যাটদের দখলেই সেনেট থাকায়, বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট থেকে পদ থেকে সরানোর সম্ভাবনা খুবই কম।