প্রতিবেদন : ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে সফল ভাবে নেমেছে চন্দ্রযান ৩। তারপর রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ১২ দিন ধরে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। চাঁদের মাটিতে নানা খনিজের উপস্থিতির প্রমাণ দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে। এরপর চাঁদের বুকে নেমেছে অন্ধকার। ঘুমিয়ে পড়েছে ‘বিক্রম’ আর ‘প্রজ্ঞান’। কিন্তু প্রায় একপক্ষকালের বিশ্রামের পর এবার জেগে ওঠার পালা। শুক্রবার চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলো পড়লে কি চোখ খুলবে তাদের? এই আশাতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় দেশ।
আরও পড়ুন-হাতছানি দেয় মিনি ইসরায়েল
বিষয়টি নিয়ে ইসরো কী বলছে? এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন চন্দ্রযান ৩-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর। তাঁর মতে, সম্ভাবনা ক্ষীণ, তবে আমরা আশাবাদী।
সূর্য ডুবলে মাইনাস ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় চাঁদের তাপমাত্রা। এই মারাত্মক ঠান্ডায় ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের কলকব্জা ঠিক থাকবে না বলেই আশঙ্কা। ইসরো বরাবরই জানিয়েছিল যে এই অভিযানের আয়ু মাত্র ১৪ দিনের। সেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রযান ৩-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর পালানিভেল ভিরামুথুভেল বলেন, ১৪ দিনের মধ্যে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডিং এবং সেখান থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে আনাই ছিল চন্দ্রযান ৩-এর মূল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য আমরা সাফল্যের সঙ্গে অর্জন করে ফেলেছি। তবে আমরা এখনও আশাবাদী ১৪ দিন শেষে চাঁদে ফের জেগে উঠবে চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থ দফতর, কােষাগার থেকেই বেতন উপাচার্যদের
সূর্যালোক পেয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। যদিও সেই আশা অত্যন্ত ক্ষীণ। তবে এটাও ঠিক যে সীমিত সময়ের মধ্যে চন্দ্রযান দারুণ কাজ করেছে। চন্দ্রযান-৩ অক্সিজেনের সন্ধান পেয়েছে। যা জলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত আরও জোরদার করেছে। চাঁদের মাটিতে জলের উপস্থিতি আগামিদিনে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলে, আগামিদিনে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানো এবং সেটিকে দীর্ঘদিন সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রেও বড়সড় সাফল্য আসবে। ইসরো বলছে, চাঁদেই লঞ্চিং প্যাড তৈরি করে সেখান থেকে অন্য গ্রহগুলিতে রকেট পাঠানো সম্ভব হয় কি না, তাও গবেষণা করে দেখা হচ্ছে।