মৌসুমী দাস পাত্র নদিয়া: ব্যাপকভাবে বেড়েছে ছোট দুর্গার চাহিদা। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি মৃৎশিল্পীরা। তাতে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের একটা বিরাট অংশ বাড়তি লাভের টাকা ঘরে তুলতে চলেছে। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত দুর্গাপুজো। উমার আরাধনাকে কেন্দ্র করে বাঙালির উন্মাদনা, সর্বোপরি যে উৎসব পরিবেষ্টিত হয় তা বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিয়েছে। সেই উৎসবের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ইউনেস্কোর তরফ থেকে রাজ্যে খুশির বার্তা এসেছিল।
আরও পড়ুন-দিল্লির সঙ্গে রাজ্যেও প্রতিবাদ কর্মসূচি
একটা খারাপ সময়ের মধ্যে ইউনেস্কোর এই ঘোষণায় আশায় বুক বাঁধেন কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীরা। দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করার পর ফের সেই পুজো নিয়ে বাঙালি মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার জন্য কৃষ্ণনগর পটুয়াপাড়াগুলোয় চলছে জোরকদমে উমাকে গড়ে তোলার কাজ। বড় ও কিছুটা মাঝারি মৃৎশিল্পীদের দুর্গা গড়নের পাশাপাশি অনামী, ছোট মৃৎশিল্পীরা তৈরি করছেন ছাঁচের এই ছোট দুর্গা। মৃৎশিল্পের আঁতুড়ঘর ঘূর্ণি, আনন্দময়ীতলা, পালপাড়া সহ বেশ কিছু জায়গায় কয়েশো মৃৎশিল্পী তৈরি করছেন এই ছোট দুর্গা। সেখানে ছাঁচের তৈরি শোকেসে বন্দি ছোট দুর্গা দিব্যি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায়৷ গত বছর পয়লা সেপ্টেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে কৃষ্ণনগরে মিছিল করে ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আরও পড়ুন-আগামিকাল কি ফের কি জেগে উঠবে প্রজ্ঞান?
সেই শোভাযাত্রায় স্কুলের পড়ুয়া, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ক্লাব সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা ঘিরে প্রবল পড়ুয়া থেকে বড়দেরও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কৃষ্ণনগর পটুয়াপাড়াগুলোয় ব্যাপক ভাবে ছোট দুর্গা বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল। এবার প্রথম থেকে ছোট দুর্গা বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে মৃৎশিল্পীরা। তাই কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন পটুয়াপাড়ায় ঢুঁ মারলেই শোকেসের মধ্যে প্লাস্টিকের মোড়ানো এই ছোট দুর্গা দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া মৃৎশিল্পী সুবীর পাল বলেন, ইউনেস্কোর ঘোষণায় নিঃসন্দেহে ছোট দুর্গাকে কেন্দ্র করে একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে।