প্রতিবেদন : নজিরবিহীনভাবে তৃণমূল বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছেন রাজ্যপাল। রীতিনীতি ভেঙে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এড়িয়ে সরাসরি ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে ফোন করে শপথগ্রহণের কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ ও পরিষদীয় মন্ত্রী। দলের অন্দরে এ-বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দু’জনেই। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এর আগে ধনকড়ও এসব করেছেন। এবার এই রাজ্যপালও শুরু করেছেন। এটা অবাঞ্ছিত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে, পরিষদীয় দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল সরাসরি আমাদের বিধায়ককে ফোন করে শপথগ্রহণের জন্য বলছেন, এ-জিনিস আগে হয়নি। উনি আমায় দু’দিন আগে ফোন করে শনিবার বিধানসভায় আসতে চেয়েছেন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য। আমি জানিয়ে ছিলাম শনিবার বিধানসভা বন্ধ থাকে। তাই সম্ভব নয়। এরপর শুনছি উনি ধূপগুড়ির বিধায়ককে রাজভবনে ডেকেছেন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য। আমরা স্তম্ভিত। সমস্ত রীতিনীতি ভেঙে ফেলছেন রাজ্যপাল। পরষদীয় মন্ত্রীর সংযোজন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্যই রাজ্যপালকে এখানে বসানো হয়েছে। উনি আসলে বিজেপির হাতের পুতুল। বিজেপির সমস্ত রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণ করতেই তাঁর এখানে আসে। একটা নির্বাচিত সরকার রয়েছে। বিধানসভা রয়েছে। তার সংবিধান-ঐতিহ্য, রীতিনীতি রয়েছে। এভাবে সবকিছুকে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজর খেয়ালখুশি মতো যা খুশি তাই করতে চাইছেন। আমরা এসব বরদাস্ত করব না। মুখ্যমন্ত্রী আজ ফিরছেন। আমি তাঁকে সবটা জানাব। রাজ্যপালের তুঘলকি আচরণ মেনে নেব না।