প্রতিবেদন : দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। সামঞ্জস্য না রেখে কাজ। জেলায় একনায়কতন্ত্র চালু করে দলের ক্ষতি— এমনই অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ায় ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির বিক্ষোভ। শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সকালে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় এবং বিকেলে মাচানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘দূর হটো’ স্লোগান দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও পড়ুন-সরাসরি নির্মলকে ফোন বোসের! বিধায়কের শপথ নিয়েও রাজনীতি রাজ্যপালের
উল্লেখ্য, এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘেরাও করে ঘরে তালাবন্ধ করে দেন তাঁরই দলের কর্মীরা। বিজেপির জেলা সভাপতি দলীয় কার্যালয়ে এলে তাঁকে ঘিরেও প্রবল বিক্ষোভ এবং হাতাহাতিও হয়। ওই দিন বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক কার্যালয়ে আসেন সুভাষ সরকার। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। খবর পেয়ে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী কার্যালয়ে জড়ো হন। তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে এসে সুভাষ সরকার ‘দূর হটো’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সুভাষ সরকারকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ায় বিজেপি বিক্ষোভ নতুন নয়। এলাকায় ন্যূনতম জনসংযোগ নেই বিজেপির এই মন্ত্রীর। টিভিতে বড় বড় বক্তৃতা করা আর নিজের খেয়ালখুশি চলাই দস্তুর করে ফেলেছেন মন্ত্রী। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বলে কিছু নেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নব্য-পুরনো দ্বন্দ্ব। কোনও কালেই সাংগঠনিক কাজে নিজেকে যুক্ত করেননি সুভাষ। বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তেল মেরে নিজের মন্ত্রীত্ব বজায় রাখতে কাটিয়েছেন। তার হয়ে যেসব বিজেপি নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের সম্মান দেওয়া দূরে থাক ঠিক করে কথাও বলেন না। কুকুর-বিড়ালের দূর-ছাই করেন। রাজ্য নেতৃত্বকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। যেখানে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো নেতাকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে সেখানে কে কার কথা শুনবে! তাই বিক্ষোভের পথই বেছে নিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপির নেতা-কর্মীরা। জেলায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একটাই কথা। এই ক্ষোভের আগুনে লোকসভায় পুড়ে শেষ হবে বিজেপির এই আসনটি।