ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের (Nirmal Chandra Roy) দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থার জন্য সোমবার ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন শপথ গ্রহণ আটকে থাকায় ওই এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে উল্লেখ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী। প্রথা মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যপালকে চিঠিতে আবেদন জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি এই চিঠি লিখেছেন বলে সে কথাও উল্লেখ করেছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, আজ রাজভবনে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠানোর আগে নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন পরিষদীয় মন্ত্রী৷ তারপরেই রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান পরিষদীয় মন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন বিধায়কের শপথ গ্রহণ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাধে। এর জেরে ভোটে জেতার প্রায় একমাস পর শপথ নেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গু রোধে অভিযান, পরিত্যক্ত কারখানায় লার্ভা নিধনে ড্রোন ওড়াল পুরসভা
সদ্য ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় (Nirmal Chandra Roy)। বিধানসভা নয়, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাজভবনে করতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি সরাসরি ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে ফোনও করেছিলেন। যদিও ধূপগুড়ির বিধায়ক রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি। রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, সকলকে এড়িয়ে নিজের মতো করে শনিবার রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। রাজ্যপালের এমন ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার স্পিকার। বাংলায় অতীতে কোনও বিধায়ককে রাজভবনে শপথ নিতে দেখা গিয়েছে, এমন নজির নেই। রাজ্যপাল নিজের চেয়ারের অপব্যবহার করে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে সেই পরিষদীয় রীতিনীতিকেই লঙ্ঘন করতে চাইছেন। কোনও উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব মূলত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এ-ছাড়া বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান সাধারণত বিধানসভাতেই হয়ে থাকে। পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, তাঁর কাছে নির্দেশ এসেছে। সোমবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। সেই মতো চিঠি পাঠানো হবে।