প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় কঠোর হাতে হাল ধরল প্রশাসন। রাতের বিধিনিষেধে কড়াকড়ি বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলির পরিস্থিতি বেশি করে আশঙ্কা জাগানোয় এই সব এলাকার ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে সবথেকে বেশি। মুখ্যসচিব শনিবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে করোনা বিধি কঠোরভাবে লাগু করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-চিকিৎসা-গবেষণায় বিশেষ স্বীকৃতি দিল রাজ্য
বৈঠকে উপস্থিত কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে শহরে নৈশ বিধিনিষেধ নিয়ে কড়াকড়ি, হোটেল রেস্তোরাঁ নিয়ম মেনে খোলা, সাধারণ মানুষ মাস্ক, স্যানিটাইজার ঠিকমতো ব্যবহার করছেন কি না তা দেখার জন্য মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন। এর পরেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। পুজোর জন্য ছাড় শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের বলবৎ হয়েছে রাত্রিকালীন নিয়ন্ত্রণ। নাগরিকরা তা যথাযথভাবে মানছেন কি না তা দেখতে রাতে পুলিশ কর্তারা পথে নামছেন। শনিবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশকে নাকা তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। শনিবার থেকেই কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ফেরানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই জেলাগুলিতে রাতের বেলা নাইট কারফিউ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় বের হওয়ার জন্য নাকা চেকিং চালু করেছে পুলিশ। সেখানে আটক করার পাশাপাশি মোটা টাকা জরিমানাও করা হচ্ছে বেপরোয়া মনোভাবের মানুষদের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন-গীতার শ্লোকে বিদায়-সংবর্ধনা হল মেট্রোর নন-এসি রেকের
একই সঙ্গে ফেরানো হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও। বলা হয়েছে, রাজ্যের কোনও প্রান্তেই রাত সাড়ে ১০টার পরে আর কোনও হোটেল, রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। সকাল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যখন খোলা থাকবে হোটেল ও রেস্তোরাঁ তখন ৫০ শতাংশ আসন বিধি মেনে চলতে হবে। এরই পাশাপাশি জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনেশনে জোর দিতে। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলে যাতে তা মেনে চলেন সেই দিকেও কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে। রাস্তায় যেভাবে মাস্কহীন মুখের সংখ্যা বাড়ছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গণচেতনা জাগানোর জন্য প্রচারের উপরে জোর দিয়েছে পুলিশ। প্রয়োজনের জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাস্তায় নেমে মাস্কহীন মুখদের মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে। তবে নবান্ন সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের মতো কড়া বিধিনিষেধ ফেরার সম্ভাবনা নেই।