প্রতিবেদন : সব ঠিক থাকলে পুজোর ছুটির পর স্কুল, কলেজ খোলার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ নভেম্বরকে স্কুল খোলার সম্ভাব্য তারিখ ধরে নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের পৌরোহিত্যে দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে স্কুলগুলি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে যে খরচের হিসাব পাঠিয়েছে তা চলতি মাসের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৫টি জেলায় ৪৯ হাজার ৩৩৬টি প্রাথমিক, ১৪ হাজার ১৯৯টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। স্কুল খোলার আগে স্কুল চত্বর পরিষ্কার ও স্যানিটাইজেশনের জন্য প্রাথমিক স্কুলে ৫ হাজার এবং উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্কুলের নানা ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি মেরামতির জন্যও আলাদা করে বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। বাংলার শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে স্কুল সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় যেমন ক্লাসরুম, পানীয় জলের উৎস, শৌচাগার, মিড ডে মিলের রান্নাঘর, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, চেয়ার, টেবিল এবং বেঞ্চের অবস্থার ছবি চেয়ে পাঠানো হয় স্কুলের পরিচালন সমিতির কাছে। সেগুলো সারানোর প্রয়োজন আছে কি না, থাকলে আনুমানিক খরচ কত তারও সম্ভাব্য হিসাব চাওয়া হয়। সেই সব খাতে টাকাও চলতি মাসের মধ্যে স্কুলগুলোকে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ২৯ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন স্কুলে বর্তমানে কত সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন, তা রাজ্যকে পরিসংখ্যান দেবে স্কুলগুলি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আধারের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬ অক্টোবরের মধ্যে সেই তথ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-দিল্লি থেকে উদ্ধার সুন্দরবনের ৫ মহিলা
স্কুল বাড়ি মেরামতির জন্য, স্কুলপিছু টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছে বিকাশ ভবন। সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, কোনও স্কুলে ৭০ হাজার, আবার কোনও স্কুলে ১ লক্ষ টাকারও বেশি দিচ্ছে বিকাশ ভবন। ৬৪৬৮টি স্কুল টাকা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।