প্রতিবেদন : কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত পুলিশের জালে এক মহিলা-সহ মোট তিনজন। যদিও মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার এখনও অধরা। তার মা মিঠু হালদার ও ভিকির দুই সঙ্গীকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি সারানোর অজুহাতে ভিকির দুই সঙ্গী বাপি ও জাহিরকে সেদিন ওই বাড়িতে ডেকে এনেছিল মিঠুই। তাঁরা ঢোকার পর আসে ভিকি। এসেই সে উপরের ঘরে চলে যায়। সেখানে আগে গাড়িচালক রবীনকে খুন করে সে। কাজ সেরে নিচে নেমে আসে ভিকি। কারণ, একতলায় ছিলেন সুবীরবাবু। এরপর সবাই মিলে খুন করে সুবীরবাবুকে। তারপর চলে দেদার লুঠপাট। খুনের পর ট্রেন ধরে তিনজন পালায়। খুনে জড়িত ভিকির দুই সঙ্গী ছাড়াও আরও এক যুবকের নাম উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, ফার্ন রোডের একটি সাইটে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ওই যুবক। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার দিন বিকেলে ভিকির সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক দেখা করতে গিয়েছিল ওই কনস্ট্রাকশন সাইটে। বেশ কিছুক্ষণ দু’জনের কথা হয়। ওখানে কর্মরত নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এখন সেই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। ওই সাইটে আসা অজ্ঞাত পরিচয় সন্দেহভাজন যুবকের সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-পুজোর ছুটি শেষ হলেই স্কুল খোলার প্রস্তুতি শিক্ষা দফতরের