প্রতিবেদন : ক্ষমতায় এলে পূর্বসূরি ডোনাল্ডা ট্রাম্পের মতো লটারির ভিত্তিতে এইচ ওয়ান বি ভিসা তুলে দেবেন তিনি। তার বদলে চালু করবেন মেধার ভিত্তিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীর এহেন মন্তব্য ঘিরে দিনকয়েক আগেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের চিন, টিকটক ও ইউক্রেন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন রামস্বামী।
আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটের আগে আবার ধাক্কা, বিজেপির সঙ্গে যেতে চায় না আকালি দল
সম্প্রতি, দ্বিতীয় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন বিবেক। সব মিলিয়ে সেখানে ৭ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওই বিতর্কে যোগ দেন। আর সেখানেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিবেক। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি বিবেক টিকটকে যোগ দিয়েছেন। তবে মার্কিন মুলুকের বহু জায়গায় চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেও কেন বিবেক টিকটকে? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনে জিততে তরুণ মার্কিনিদের আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৬ কিশোর-কিশোরীদের যে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থাকা একেবারেই উচিত নয়, সেকথা মেনে নিয়েও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে টিকটকের মতো টুলকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, টিকটক ব্যবহারের ফলে আমরা চিনের থেকেই স্বাধীনতা পাব, যা আমি চাই। যদি সত্যি আমরাই জিতি আমরা সেটা অবশ্যই পাব। আর বিবেকের এমন মন্তব্য শুনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীরা সমালোচনায় সরব হন।
আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগে কোন্দল সামলাতে নাজেহাল বিজেপি
তবে শুধু চিন বা টিকটক অ্যাপই নয়, এদিন ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গেও মুখ খুলে বিতর্ক বাড়িয়েছেন বিবেক। তাঁর কথায়, পুতিন শয়তান একনায়ক হলেও ইউক্রেন যে একেবারেই ভাল নয় তা এদিন মনে করিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। বিবেকের অভিযোগ, ওরা একটা এমন দেশ, যারা ১১টি দলকে নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে মার্কিন সাহায্যের ক্ষেত্রেও কাটছাঁট করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন বিবেক।