টানা ৭দিন ধরে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাত চলছে কানাডার। এই পরিস্থিতিতে পিছু হটলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Canada PM Justin Trudeau)। খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের হাত রয়েছে, বলে দাবি করে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এরপরই ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। তবে এই টানাপোড়েন যখন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখনই আচমকা পিছু হটলেন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো (Canada PM Justin Trudeau) বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারত উদীয়মান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির গুরুত্বও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাই ভারতের সঙ্গে বন্ধন আরও শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে আচমকা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এমন ভোলবদল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, তবে কি কিছুটা কোনঠাসা হয়েই এমন সিদ্ধান্ত ট্রুডোর? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুনের জমায়েতে বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ৫০জনের
এদিকে খলিস্তানি নেতা নিজ্জরের মৃত্যুর ঘটনায় কানাডার দোষারোপের পরই কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছে ভারত। ইতিমধ্যে কানাডার ভিসায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যেতেও বলা হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডাও। তবে ট্রুডোর এই মন্তব্য়ের বিরোধিতাও করেছেন সে দেশের কয়েকজন মন্ত্রী। এবার আচমকাই উল্টো সুর খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর গলাতেও। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে কানাডা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বমঞ্চে ভারতের যেভাবে গুরুত্ব বাড়ছে, সে কথা মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে কানাডা ও তার বন্ধু দেশগুলির সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় খলিস্তানি নিজ্জর। ট্রুডোর দাবি, ভারতীয় গুপ্তচররা খুন করেছে তাকে। যা অসঙ্গতিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।