প্রতিবেদন : লাইভ টিভি শো-র (Politicians fight on live debate) বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই বিরোধী দলের নেতা। ভিডিও সম্প্রচার শুরু হতেই রাজনৈতিক মতানৈক্য চরমে পৌঁছয়। কিন্তু বাদানুবাদ বা বিতর্ক আর মৌখিক আলোচনায় থেমে থাকেনি, একেবারে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। অনুষ্ঠান দেখে বিতর্ক নাকি বক্সিং শো বোঝা দায়। হাজার হাজার দর্শকের চোখের সামনেই চলতে থাকে সেই প্রদর্শনী। পাকিস্তানের দুই রাজনৈতিক নেতার এমন লজ্জাজনক আচরণের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সম্প্রতি পাকিস্তানে এক টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিতে এসেছিলেন নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা তথা সেনেটর আফনান উল্লাহ খান। তাঁর বিপরীতে ছিলেন ইমরান খানের দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা শের আফজাল খান মারওয়াত। আর এই দুই নেতাকেই টিভির পর্দায় হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা গেল। শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছে বর্তমান প্রশাসন। এদিন শুরুতে পাশাপাশি বসেই দুই বিরোধী নেতার মধ্যে চলছিল রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। কিন্তু, শো একটু গড়াতে আচমকাই উত্তেজিত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন আইনজীবী শের আফজল। তারপর নিজের বাঁ দিকে বসে থাকা আফনান উল্লাহকে কষিয়ে এক থাপ্পড় মেরে দেন তিনি। তবে কম যাননি আফনান উল্লাহও। তিনি পালটা আক্রমণ করেন ইমরান খানের আইনজীবীকে। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুজনের তুমুল হাতাহাতি আর অজস্র গালিগালাজ চলতে থাকে বলে অভিযোগ। তবে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে টিভি চ্যানেলের কর্মীরা দৌড়ে এসে সেই মারামারি (Politicians fight on live debate) সামাল দেন। কিন্তু, সম্পূর্ণ ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হটকেকের মতো বিকোচ্ছে সেই ভিডিও। পরে, সেনেটর আফনান এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, তিনি অহিংসায় বিশ্বাসী। কিন্তু তিনি নওয়াজ শরিফের সৈনিক। তাই টক শোতে মারওয়াত তাঁকে আক্রমণ করায়, তিনিও পাল্টা লড়াই ফিরিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলে কেন প্রায়শই রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরনের দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখা যায়, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। অনেকে আবার রসিকতা করে বলেছেন, টিভি বিতর্ক এরকম প্রাণবন্তই হওয়া উচিত।