প্রতিবেদন : দীর্ঘদিনের পুরনো তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রত্যাহার করে চালু করা হবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিল (Digital India Bill)। এর মাধ্যমে অনলাইন কনটেন্টে কেন্দ্র নজরদারি করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে নানা মহলে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিলে কিছু সংশোধনী এনে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের। তার মধ্যে রয়েছে ব্লক করার ক্ষমতা থেকে শুরু করে কনটেন্টের ভাষা পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতাও। ফলে এবার ডিজিটাল দুনিয়াতেও বাড়তে চলেছে মোদি সরকারের দখলদারি।
এই বিলের (Digital India Bill) মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য একটি সামগ্রিক আইনি কাঠামো তৈরির ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিলের বিধি ব্যবহার করে সমস্ত ডিজিটাল ক্ষেত্রের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায় সরকার। শিল্পমহল এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা পর্ব মিটে গেলেই বিলের খসড়া সংসদে পেশ করা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলিকমের পর ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিল হতে চলেছে মোদি সরকারের আনা তৃতীয় ডিজিটাল বিল। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯ ধারা অনুযায়ী, কোনও অনলাইন কনটেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা, ভিন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে তা ব্লক করতে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে প্রস্তাবিত আইনে এই বিষয়টির পরিধি আরও অনেক বাড়়ানো হচ্ছে বলেই সূত্রের দাবি। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা বা বৈদেশিক সম্পর্ক ছাড়াও অন্য যে কোনও আইন ভঙ্গ করলেই সেই কনটেন্ট ব্লক করতে পারবে সরকার। এ ছাড়া কনটেন্ট প্রত্যাহার করার নির্দেশিকা জারির ক্ষেত্রেও এক্তিয়ার বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই বিল যে ডিজিটাল দুনিয়ায় সরকারের নজরদারি ও লাগাম পরানোর ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হচ্ছে সে-বিষয়ে একমত সরকারি আধিকারিকরা। সংসদে পেশ হওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত অনলাইন কনটেন্টের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্সরশিপ বেড়েছে ২০০০ শতাংশ।