প্রতিবেদন : খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাত তীব্র হয়েছে। কানাডা জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে বলে ট্রুডোর দেশকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে এবার ‘বন্ধু’ ভারতের হয়ে গলা মেলাল প্রতিবেশী বাংলাদেশ (India- Bangladesh)। খালিস্তান ইস্যুতে কানাডার ভূমিকার সমালোচনা করেছে হাসিনা প্রশাসন। ঢাকার তরফে কড়া সুরে বলা হয়েছে, খুনিদের আখড়া হয়ে উঠেছে কানাডা। এ-বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, খুনিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য কানাডায় চলে যায়। সেখানে তারা নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকারীরা এখনও কানাডায় বসবাস করছে। আমরা বহুবার কানাডার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি তাদের যেন বাংলাদেশে (India- Bangladesh) ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। জাতির পিতার হত্যাকারীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে সেখানে। অপরাধীদের ফেরানোর কথা বললে প্রতিবারই তারা কোনও না কোনও বাহানা দেখিয়েছে। খুনিদের আখড়া হয়ে ওঠা কানাডার জন্য কাম্য নয়।
আরও পড়ুন- খবরের কাগজে খাবার পরিবেশন করা যাবে না, জারি নিষেধাজ্ঞা
এদিকে মার্কিন সফরে গিয়ে শনিবারও বাকস্বাধীনতা প্রসঙ্গে কানাডাকে একহাত নিয়েছেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খালিস্তানিদের কুকীর্তিকে তাদের বাকস্বাধীনতা বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। সে প্রসঙ্গে পাল্টা কানাডাকে আক্রমণ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বাকস্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন জয়শঙ্কর মন্তব্য করেন, আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। বাকস্বাধীনতা কী, আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। বাকস্বাধীনতা কোনও ধরনের হিংসায় উসকানি দিতে পারে না। তা যদি হয় তাহলে সেটা আমাদের কাছে স্বাধীনতার অপব্যবহার, স্বাধীনতা রক্ষা নয়।
খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের সঙ্গে ক্রমেই সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে কানাডার। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের মাঝে-মাঝেই খালিস্তানি নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, আপনারা যদি আমার জায়গায় থাকতেন কী করতেন? যদি আপনাদের দূতাবাসে, আপনাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হত তখন অবস্থান কী হত? যদিও সংঘাত বাড়লেও সবটাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। জয়শঙ্করের কথায়, এমন নয় যে আমরা আলোচনার দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে আমাদেরও সুযোগ দিতে হবে। যদি ওরা আমাদের সঙ্গে সমস্ত তথ্য ভাগ করে, তখন আমরা বিষয়টি দেখতে পারি।