প্রতিবেদন : মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডব। আর তাতেই লন্ডভন্ড অবস্থা। এক জায়গায় নয়, পরপর দু’জায়গায় টর্নেডো (Tornado) শনিবার সকালে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁতে আর হুগলির ত্রিবেণী- চুঁচুড়ায়। মিনাখাঁতে টর্নেডোর দাপট ছিল মাত্র ২ মিনিট। আর তাতেই সব তছনছ। তবে প্রশাসনিক কর্তারা দ্রুত পৌঁছে যান এলাকায়। গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান। বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার সকালে আচমকাই আছড়ে পড়ে টর্নেডো (Tornado)। কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেয়াড়ি, আমতলা ও জয়গ্রামের মতো বেশ কিছু গ্রাম ও বাজার লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভোররাত থেকেই চলছিল বৃষ্টি। তার মধ্যেই টর্নেডো। আহত হন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যা়ল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় একশো কিলোমিটার। বেশকিছু ঘরের এবং রাস্তার বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েকটি গাছও ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রায় একইরকম ঝড় এদিন সকালে আছড়ে পড়ে ত্রিবেণী এবং চুঁচুড়াতেও। এখানেও চোখে পড়ার মতো তৎপরতা প্রশাসনের। ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে চুঁচুড়া স্টেশন লাগোয়া বেনাবারুই এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লন্ডভন্ড দশা। উড়ে গিয়েছে কারখানার শেড, লন্ডভন্ড বাগান। ঘূর্ণিঝড় রেহাই দেয়নি ত্রিবেণীকেও। যার তাণ্ডবে ভগ্নদশা গঙ্গার তীর লাগোয়া ঘরবাড়ির। ক্ষতিগ্রস্ত গঙ্গার পাড় সংলগ্ন এলাকার মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা। চাল উড়ে যায় ত্রিবেণী শ্মশানেরও।
আরও পড়ুন-খালিস্তানি হেনস্থার মুখে স্কটল্যান্ডের ভারতীয় হাইকমিশনার