প্রতিবেদন : থিয়েটার সমাজের আয়না, যেখানে চারপাশের ঘটনা প্রতিফলিত হয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলা থিয়েটারের উন্নতিসাধনে মন দিয়েছেন। দেশের আর কোনও রাজ্যে এই ধরণের উৎসব হয় না। বাংলার নাটক আজ অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেন শিল্পীরা, অন্য রাজ্যের নাটককে এই রাজ্যে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, আকবর ছাড়া যেমন তানসেন হয় না, বিক্রমাদিত্য ছাড়া যেমন কালিদাস হয় না, তেমনই বৃহত্তর লক্ষ্যে থিয়েটারের সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ৫ হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই থিয়েটারকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা সর্বত হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন-বাধার পাহাড় ভেঙে বঞ্চনার প্রতিবাদে বাংলার দিল্লি চলো
মন্ত্রী মনে করান, এই মহান কর্মযজ্ঞ সম্পাদনে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা আর উদ্যোগকে কুর্নিশ জানান শিক্ষামন্ত্রী। ফেস্টিভ্যালের আয়োজনে খরচ হয় আনুমানিক ৯০ লক্ষ টাকা। সবটাই করছে রাজ্য সরকার। মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শনিবার থিয়েটার উৎসবের উদ্বোধনে একথা বলেন বিশিষ্ট অভিনেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নাটকের মাধ্যমে মানুষের নানা অনুভূতির প্রসার ঘটে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে এই দিকগুলিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তাতে বাংলার সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এটা একটা অনন্য উদ্যোগ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ব্রাত্য বসুর মতো নাট্য ব্যক্তিত্ব বাংলায় থাকায় বাংলা থিয়েটার আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। সংস্কৃতির আদান-প্রদানে থিয়েটারের একটা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল শুরু করেছে বাংলার সরকার। মাঝে কোভিডের কারণে দু’বছর হয়নি। এই বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতর ও মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের উদ্যোগে কলকাতার রবীন্দ্র সদন চত্বরে শুরু হল ষষ্ঠ জাতীয় নাট্য উৎসব ২০২৩। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল চলবে। রবীন্দ্র সদন ছাড়াও মধুসূদন মঞ্চ ও গিরিশ মঞ্চে এই উৎসব চলবে। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, গুজরাটি, মারাঠি ভাষার নাটকও এই উৎসবে পরিবেশিত হবে। এদিন বৃষ্টি ভেজা বিকেলে এই নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ছিলেন বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব সতীস আলেকর। দর্শকাসনে ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন-সহ একাধিক সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব।