বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর সময় এসেছে। সোমবার,ধরনা কর্মসূচি, পুলিশি হেনস্থা, দলীয় বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্যের পাওনা আদায়ে বঞ্চিত গরিব মানুষকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন, রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ ধরনা কর্মসূচিতে বাধা দেয় শাহের পুলিশ। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ অভিষেক। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “যত আটকানোর চেষ্টা করবে, ততই কিন্তু এই লড়াই তীব্রতর হবে।“ তাঁর কথায়, “২০২১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০০টা কেন্দ্রীয় দল, বাংলা দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। কী পেয়েছে?“ এরপরেই বিজেপির দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “দুর্নীতি হলে সিবিআই তদন্ত হোক।“
আরও পড়ুন-লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের
এরপরেই কেন্দ্রীয় তদন্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে সব মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে তার কী ফল হয়েছে। সিবিআই আজ পর্যন্ত যা তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। গত ২ বছরে ২৬টা তদন্তে কিচ্ছু করতে পারেনি। “রাজ্য সরকার তো চাকরি দিতে চায়। কিন্তু তদন্ত চলছে।” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “নিয়োগ মামলায় কতজন চাকরি পেয়েছে? সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ডেও তদন্ত করছে সিবিআই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো শ্যামল সেন কমিশন গড়ে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তে কতজন টাকা ফেরত পেল?” তবে, অভিষেকের মত, কেউ যদি টাকা পায়, সিবিআই তদন্ত হোক।
এদিন রাজঘাটের ধরনা কর্মসূচি সেরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন অভিষেক। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই তিনি বলেন, ”এবার প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর সময় হয়েছে। টাকা না দিলে তার ফল পাবে মোদি সরকার।” অভিষেকের কথায়, মোদি সব কিছুর নাম বদলে দিচ্ছেন। এবার তাঁকেই বদলানোর সময় এসেছে।