বিজেপির জমিদারি হটাও, দেশ বাঁচাও- মঙ্গলবার যন্তরমন্তরের সভা থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে হটানোর ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, দিল্লিতে জমিদারি চালচ্ছে বিজেপি। সেই জমিদারির পতন হবে শীঘ্রই। এদিনের তৃণমূলের সমাবেশ ঘিরে অমিত শাহের পুলিশের অতি সক্রিয়তাকেও তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় বিমান কিনেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া ১লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে দিলে বাংলা কত সেতু, হাসপাতাল-সহ উন্নয়নমূলক কাজ করা যেত। দিল্লির জমিদারি ব্যবস্থার অবসান করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন অভিষেক।
এরপরেই তৃণমূলকে আটকাতে দিল্লিতে বিজেপি (BJP) পুলিশের (Police) জমায়েতকে মোক্ষম খোঁচা দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এই সভায় সকাল ১১টা থেকে সবাই এসে উপস্থিত হয়েছেন। গত পরশু রাতে রাজধানী এসেছি। গতকাল দিল্লিতে কর্মসূচি ছিল। গতকাল র্যাফ, আধাসামরিক বাহিনী, দিল্লি পুলিশের আধিকারিক নেমেছিল ৫০ জন সাংসদ আটকাতে। আজকেও এমন ভাবে পুলিশ আধাসামরিক বাহিনী, নামানো হয়েছে যেন ভারত-চিন যুদ্ধ হচ্ছে। রোজ মণিপুর জ্বলছে। আর আমাদের সভা আটকাতে অমিত শাহের পুলিশ নেমে পড়েছে। মন্ত্রী দেখা করল না, রেল বাতিল হল, তারপরেও সভা হল। আমাদের বলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ নয়, এটা দিল্লি পুলিশ ৬ ফুট ডান্ডা। এর পরেও আমরা সরে আসিনি। কারণ আমাদের মেরুদণ্ড সোজা। ধমকে চমকে লাভ নেই।”
এর পরেই হুঙ্কার দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের গায়ে আঁচড় পরলে ছেড়ে কথা বলব না। যে যে ভাষা বোঝে সেটা বোঝাব। আমাদের সৌজনতা আমাদের দুর্বলতা নয়। পুলিশ দিয়ে আটকানো যাবে না। ED, CBI দিয়ে আটকানো যাবে না। ঘরে ঢুকিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ বলেছিল দিল্লি চল। মোদি-শাহ আটকাতে পারেনি। বাংলার মানুষ দিল্লি এসেছে। আপনারা বলুন কি চান? আত্মসমর্পণ না প্রতিরোধ মোদির হাতে রিমোট কন্ট্রোল বোতাম থাকলে। আপনার হাতে থাকবে ইভিএম বোতাম।”
সামনের বছর লোকসভা ভোট। কেন্দ্রে এনডিএ সরকারকে হটাতে ইতিমধ্যেই জোট বেঁধেছে বিরোধীরা। তৈরি হয়েছে I.N.D.I.A. জোট। এদিন তৃণমূলের সমাবেশ থেকেও মোদি সরকারকে হটানোর ডাক দিয়ে জোট বার্তাই দিলেন অভিষেক- মত রাজনৈতিক মহলের।