নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রতিবাদ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সময় বেলা ১টা। সভা শুরু হল তারও বেশ কিছু পর। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই দিল্লির যন্তরমন্তর চত্বরে দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যেই গুলিয়ে যাচ্ছিল আসলে কোথায় আছি! যেদিকে চোখ যাচ্ছে সেদিকেই তৃণমূলের পতাকা আর বাংলায় স্লোগান। যেমনটা অহরহ দেখি কলকাতার ধর্মতলায়। আশেপাশে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন-অর্থনৈতিক অবরোধের কবলে বাংলা
আর রয়েছেন বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডাররা। যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও হকের টাকা পাননি। মুহুর্মুহু স্লোগান আছড়ে পড়ছে। মূল মঞ্চের একদিক দিয়ে ঢুকছেন মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কেরা। মঞ্চের সামনের দিক দিয়ে ঢুকছেন দলের বাকি নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। প্রত্যেকের হাতে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন। নানা ধরনের স্লোগান লেখা বডি জ্যাকেট। কুড়িজনের টিম নিয়ে অসম থেকে এসেছেন সভাপতি রিপুন ভোরা। এসেছেন ত্রিপুরা, মণিপুরের মানুষেরাও। মঞ্চের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাংলা থেকে আনা ক্ষোভের চিঠি। গত দু-দশকে ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে-রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ-ডোরিনা ক্রসিংয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যত সভা-সমাবেশের সাক্ষী থেকেছি, দিল্লির এই যন্তরমন্তরের সভায় দাঁড়িয়ে আজ তাই গুলিয়ে যাচ্ছিল আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় প্রাঙ্গণে উপচে-পড়া জাতীয় মিডিয়ার সামনে তৃণমূলের এই প্রতিবাদসভা দেখে ধর্মতলার সভা মনে হতে বাধ্য।
আরও পড়ুন-রোগ প্রতিরোধে
বিজেপি এত ভয় পেয়েছে যে, কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে দশ হাজারের বেশি লাঠিধারী পুলিশ-র্যাফ-জলকামান-অফুরন্ত বাস— সব মজুত করেছে যন্তরমন্তর জুড়ে। দেখলে মনে হবে যেন যুদ্ধে এসেছে এরা। এই আবহের মধ্যেই রাজধানীর বুকে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃণমূল কংগ্রেস। এসব দেখে প্রচুর উৎসাহী স্থানীয় মানুষও এসেছেন এই লড়াই চাক্ষুষ করতে। এ লড়াই চলছে-চলবে।