মণীশ কীর্তনিয়া ও নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: বঞ্চিতের বাংলা আজ মিলেছে দিল্লির বুকে যন্তরমন্তরে। ধূপগুড়ি থেকে জঙ্গলমহল, কাকদ্বীপ থেকে কৈখালি এক সুরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে রাজধানীর বুকে। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে বাংলার মানুষের হক আদায়ে বাংলার বাইরে দিল্লির বুকে যেভাবে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল তাতে শাহি দিল্লির রাজনৈতিক মহলের টনক নড়তে বাধ্য। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই লড়াইয়ে শামিল সারা বাংলা।
আরও পড়ুন-যন্তরমন্তর যেন কলকাতার ধর্মতলা!
জঙ্গলকন্যা-মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা যেমন বক্তব্য রাখতে উঠে ঝড় তুলে দিলেন। বাংলার সঙ্গে তাঁর নিজের আদিবাসী ভাষাতেও বললেন। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করা নতুন বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় তাঁর বক্তব্যে-প্রতিবাদে মন জয় করে নিলেন। ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জোশ ছড়িয়ে দিলেন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে। দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখলেন মূলত হিন্দিতে। তাতেই হাততালির ঝড়। যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ তাঁর নিজের স্টাইলে মন জয় করে নিলেন। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রতিবাদ করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশকেও মনে করালেন ‘মেহেঙ্গায়ী আপকো ভি নেহি ছোড় রাহি হ্যায়। যারা সোচনা!’ দোলা সেন গাইলেন লড়াই করো-লড়াই করো গান যা সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশন মঞ্চে রোজ গাইতেন।
আরও পড়ুন-অর্থনৈতিক অবরোধের কবলে বাংলা
পুরুলিয়ার পুরনো পোড়-খাওয়া নেতা শান্তিরাম মাহাতোও বললেন, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই হবে। বাকি সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়করাও প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন। ২৭ জন বক্তার প্রতিবাদের সুর একটাই, লড়াই হবে। এই সুর বাংলার বুকেই বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বুকে আছড়ে পড়েছে সুনামির মতো।