রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিতে শুরু হল তৃণমূলের ‘রাজভবন চলো’ অভিযান। বৃহস্পতিবার, বিকেল ৪টে নাগাদ নেতৃত্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতোই মোহরকুঞ্জ থেকে মিছিল শুরু হয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রয়েছেন শতাব্দী রায়, শান্তনু সেন, অরূপ বিশ্বাস, প্রদীপ মজুমদার, মদন মিত্র, মনোজ তিওয়ারি, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর রয়েছেন ভুক্তভোগী-সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। রাজপথে জনজোয়ার।
যদিও তৃণমূলের অভিযানের ভয়েই উত্তরবঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন আনন্দ বোস। অভিযোগ তৃণমূলের। তবে, শাসকদলের সূত্রে খবর, যতক্ষণ না রাজ্যপালের দেখা পাওয়া যাচ্ছে তারা সেখানেই থাকবেন। দিল্লির আন্দোলনেরই এটা পার্ট টু বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব দুর্ভাগ্য়জনক, ‘জমিদারি’ নিয়ে ধুয়ে দিল শাসকদল
মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে পুলিশি হেনস্থার পরেই সেখানে দাঁড়িয়েই বৃহস্পতিবার ‘রাজভবন চলো’ অভিযানের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দিল্লি ফিরে বুধবার, বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানান, কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপাল। তাঁর কাছেই গিয়ে আমরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাব। প্রায় লাখখানেক লোক নিয়ে অভিযান করা হবে বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে যে ৫০ লক্ষ চিঠি তাঁরা কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতরাজ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাও রাজ্যপাল দেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক। এরপরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, রাজ্যপাল তো বাংলার সব বিষয় নিয়ে মতামত দেন। রাজ্য সরকার কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি বলুন, একগুলি মানুষকে ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া কোন ধরনের ন্যায়। এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপাল ব্যবস্থা নিন। তিনি যদি দেখা না করেন, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়েই তারা পরের পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।