প্রতিবেদন : তৃণমূলের দাবি প্রতিধ্বনিত হল আদালতের পর্যবেক্ষণে। রীতিমতো কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্র। সোমবার হাইকোর্টে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে খেত মজদুর সংগঠনের করা এক জনস্বার্থ মামলায় কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে এবার কেন্দ্রকেই সরাসরি প্রশ্ন করলেন প্রধান বিচারপতি। বললেন, যাঁরা বৈধভাবে কাজ করেছেন তাঁদের টাকা আটকে রাখা হবে কেন? আদালতের স্পষ্ট কথা, যাদের জবকার্ড ভুয়ো তারা টাকা পাবে না, ঠিক আছে। কিন্তু কারা আসল আর কারা নকল, সেটা তো খুঁজে বের করতে হবে! এখানে অনেক পচা আপেল আছে। তাই ভাল আপেল খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু নিরীহ মানুষ কেন বঞ্চিত হবেন?
আরও পড়ুন-সন্ধিপুজো নয়, মায়ের আরাধনা হয় ভোররাতে
কেন্দ্রকে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, গত ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যের পক্ষ থেকে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে আপনাদের কাছে। সেটা খতিয়ে দেখে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। সবকিছু তো অবৈধ হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের প্রশ্ন, কিছু লোক তো ১০০ দিনের প্রকল্পে বৈধভাবে কাজ করেছেন। রাস্তা তৈরি হয়েছে। তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন? হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাষায় প্রশ্ন তোলে, কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার প্রমাণ কোথায়? রাস্তা তৈরি হয়নি, সেতু তৈরি হয়নি— এসব অভিযোগের সপক্ষে আদৌ কোনও প্রমাণ আছে কি? লক্ষণীয়, ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এই খাতে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এদিন জোরালো ধাক্কা খেল কেন্দ্র।