প্রতিবেদন : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এখন বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। আগেই ইউনেস্কোর সম্মান আদায় করেছে কলকাতার দুর্গাপুজো। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বিসর্জনের কার্নিভাল এই উৎসবে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। এবছরও কলকাতার বিভিন্ন প্রতিমা ও পুজো মণ্ডপগুলি অভিনব ভাবনায় সেজে উঠছে। কলকাতার দুর্গাপুজোর আকর্ষণ বিদেশিদের কাছেও কম নয়। বুধবার থেকেই তাই ঠাকুর দেখা শুরু কলকাতায়, যা নজিরবিহীন। কারণ, এখনও পুজোর উদ্বোধন হয়নি।
আরও পড়ুন-স্বপদে পুনর্বহাল আইন কলেজের অধ্যক্ষা
মণ্ডপও সেজে ওঠেনি সম্পূর্ণভাবে। কলকাতার পুজো দেখতে এবার ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা আসছেন। অনেকেই এরমধ্যে এসে পড়েছেন। তাঁরাই বুধবার থেকে বেরিয়ে পড়লেন ঠাকুর দেখতে। ইউনেস্কো, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে কলকাতার পুজো দেখা শুরু করলেন তাঁরা। ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শহরের নামকরা ২৬টি পুজো দেখবেন বিদেশি অতিথিরা। বুধবার প্রথমদিনই এই দলে ছিলেন পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ঐতিহ্যবাহী টাউন হলে পুজো সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয় তাঁদের পুজো পরিক্রমা। তারপর তাঁদের গন্তব্য ছিল টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ।
আরও পড়ুন-পুজোয় অনাথ-অসহায়দের দায়িত্ব ‘গপ্পোদাদু’ মন্ত্রীর
জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ফিজি, মঙ্গোলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন এই দলে। দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, ত্রিধারা সম্মিলনী, দেশপ্রিয় পার্কের পাশাপাশি বেহালার এবং উত্তরে দমদম পার্কের দিকের বেশ কয়েকটি বড় পুজো দেখবেন তাঁরা। কথা বলবেন থিমমেকারদের সঙ্গেও।