প্রতিবেদন : টালা-সেতু সংস্কারের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। অপেক্ষা করা হচ্ছে রেলের অনুমতির। সবুজসঙ্কেত পাওয়া গেলেই শুরু হয়ে যাবে ‘গ্রিডার্স’ বসানোর কাজ। সামনের বছর এপ্রিলেই যাতে যানবাহন চলাচলের জন্য এই ব্রিজ খুলে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য ২০২০-র ৩১ জানুয়ারির মাঝরাত থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এই সেতুতে। প্রথম পর্যায়ে শুরু হয় ভাঙার কাজ। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় অংশের পুনর্নির্মাণ। সবমিলিয়ে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : আর জি কর : ইন্টার্নদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, নতুন করে পিলার বসানোর কাজ শেষ করে ফেলা সম্ভব হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেতুর উপরে এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। কিন্তু গ্রিডার্স বসানোর জন্য চাই রেলের অনুমতি। সেই অনুমতি মিললেই নভেম্বরেই এই কাজ শুরু করতে চান পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। নতুন ব্রিজ তৈরি হলে টালা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহ সিস্টেমেও কিছু অদল-বদলের প্রয়োজন হবে। রেললাইনের কিছুটা অংশের উপরে সেতু তৈরি করে নিয়ে যেতে হবে পাইপলাইন। মূলত দক্ষিণের দু’টি পাইপলাইনের জন্যই এটা জরুরি। উত্তর কলকাতায় জল সরাবরাহের পাইপলাইনও ভবিষ্যতে রেললাইনের নিচে থেকে তুলে এনে একইভাবে রেলের ওভারব্রিজের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলের অনুমতি নিয়েই। সময়মতো তা সম্ভব হলে বাংলা নববর্ষের আগেই নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে মহানগরীর উত্তরের লাইফলাইন টালাব্রিজ।